ঢাকা: পাঞ্জাবের উত্তরাঞ্চলে ভারতীয় বিমান বাহিনীর পাঠানকোট ঘাঁটির ভেতরে সন্দেহভাজন এলাকায় হেলিকপ্টার থেকে গুলিবর্ষণ করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, বিমানঘাঁটির ভেতরে এখনও অন্তত তিনজন সন্ত্রাসী অবস্থান করছে।
শনিবার (০২ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় ভোররাত সাড়ে তিনটার (বাংলাদেশ সময় ভোররাত ৪টা) দিকে সেনা পোশাক পরে ওই বিমানঘাঁটিতে হামলা চালায় বন্দুকধারীদের একটি দল। প্রায় ছয় ঘণ্টা অভিযানের পর সেখানে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে ভারতীয় বাহিনীর গুলি বিনিময় বন্ধ হয়।
এর পর বিমানঘাঁটিতে শুরু হয় চিরুনি অভিযান। এ অভিযান চলাকালেই স্থানীয় সময় বেলা পৌনে ১১টার দিকে (বাংলাদেশ সময় বেলা সোয়া ১১টা) সেখানে গুলির আওয়াজ পাওয়া যায়। এর পরপর গ্রেনেড বিস্ফোরণেরও আওযাজ পাওয়া যায়।
বিমানঘাঁটিতে এ হামলার ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভারতীয় বিমান বাহিনীর তিন সদস্য ও চার হামলাকারী নিহত হয়েছেন।
এ হামলার ঘটনায় ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী পাঠানকোট ও এর আশেপাশের এলাকায় ‘হাই অ্যালার্ট’ জারি করেছে এবং সেই সঙ্গে পাঞ্জাব ও ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। সেই সঙ্গে পাঠানকোট ও কাশ্মীরের সংযোগকারী মহাসড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হঠাৎ পাকিস্তান সফরের কয়েকদিনের মধ্যেই এ হামলার ঘটনা ঘটলো। গত ২৫ ডিসেম্বর তিনি কয়েক ঘণ্টার জন্য পাকিস্তান সফরে যান। মোদির এ সফরের মাধ্যমে প্রায় এক যুগ পর কোনো ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর পা পড়ে পাকিস্তানের মাটিতে।
সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, পাকিস্তানভিত্তিক জেইশ-ই-মোহম্মদ (জেইএম) সংগঠনের সদস্যরা এ হামলা চালিয়ে থাকতে পারে। হামলাকারীদের সবাই পাকিস্তানের ভাওয়ালপুরের বলেও জানানো হয়েছে খবরে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৫
আরএইচ
** পাঞ্জাব বিমানঘাঁটিতে আরও এক সেনা নিহত
** পাঞ্জাব বিমানঘাঁটিতে ফের গুলির আওয়াজ
** থেমে গেছে গুলি বিনিময়, চলছে চিরুনি অভিযান
** পাঞ্জাবে বিমানঘাঁটিতে বন্দুকধারীর হামলা, নিহত ৬