ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রে এখন যারা আগ্নেয়াস্ত্র কিনবেন তাদের বিস্তারিত খোঁজ নেওয়া হবে। অস্ত্র ক্রয়ে কিছু নতুন বিধিনিষেধের ঘোষণা দিয়ে প্রেসিডেন্ট ওবামা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণে তার পরিকল্পনা ঘোষণা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার( ০৫ জানুয়ারি) এ ঘোষণা দেওয়ার সময় সেখানে তাকে ঘিরে ছিলেন বিভিন্ন হামলার ঘটনায় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা এবং নিহতদের আত্মীয়-স্বজন।
দেশটিতে একের পর এক সহিংস ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আগ্নেয়াস্ত্র আইনে সংস্কার আনতে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা পদক্ষেপ নেন।
ওবামা বলেন, অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে ‘নিষ্ক্রিয়তার জন্য অব্যাহতভাবে অজুহাত’ দেওয়া বন্ধ করতে হবে।
কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়াই এসব ব্যবস্থার অধিকাংশ নেওয়া সম্ভব হবে।
ওবামা বলেন, এই নতুন পদক্ষেপ তার আইনগত কর্তৃত্বের আওতায় থাকবে। এটা ‘দ্বিতীয় সংশোধনী’র সঙ্গে সংগতিপূর্ণ হবে, যেখানে আমেরিকানদের অস্ত্র বহনের অধিকার অনুমোদিত।
ওবামা বলেন, আমরা এখানে এসেছি শেষ বন্দুক হামলার বিষয়ে কিছু করতে নয়, বরং পরবর্তী হামলার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। তিন বছর আগে কানেটিকাট অঙ্গরাজ্যের নিউ টাউন শহরের একটি স্কুলের ২০ শিশুকে হত্যার ঘটনা স্মরণ মার্কিন প্রেসিডেন্ট চোখ বেয়ে অশ্রু পড়তে দেখা যায়।
তিনি বলেন "অস্ত্রের পক্ষের তদবিরকারীরা (গান লবি) হয়তো এখন কংগ্রেসকে জিম্মি করে রেখেছে, তবে তারা আমেরিকাকে জিম্মি করতে পারবে না"।
অস্ত্র কেনার বিধিনিষিধের যে পদক্ষেপ নিচ্ছেন ওবামা তাতে বলা আছে, সব অস্ত্র বিক্রেতাকেই সনদ নিতে হবে এবং ক্রেতাদের অতীত রেকর্ড পরীক্ষা করে নিতে হবে। মানসিক সমস্যা বা পারিবারিক সহিংসতার কারণে কেউ অস্ত্র কেনার অযোগ্য বিবেচিত হলে তার বিষয়ে রাষ্ট্রকে তথ্য দিতে হবে।
আর মানসিক স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে কংগ্রেস ৫০০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেবে এবং আগ্নেয়াস্ত্র-সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তার উন্নয়নে প্রতিরক্ষা, বিচার ও হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ ‘স্মার্ট আগ্নেয়াস্ত্র প্রযুক্তি’ বের করবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১৬
এসএ/পিসি