ব্যাংকক: দুই দশক পর মিয়ানমারের বিরোধীরা নির্বাচনে বিজয় ছিনিয়ে নিতে চাইছে। দেশটির সামরিক জান্তা চাইছে আবারও ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে।
নির্বাচন সেনাবাহিনীকে তাদের কঠিন অবস্থান থেকে সরিয়ে সাধারণ জনগণের ভূমিকায় অবতীর্ণ করছে। যা ৭৭ বছর বয়স্ক সামরিক জান্তা প্রধান জেনারেল থান শুয়ের জন্য খুবই কঠিন।
থাই ভিত্তিক বিশেষজ্ঞ আং নিয়াং ও মনে করেন, ৭ নভেম্বরের নির্বাচনের ফলাফল সামরিক জান্তার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশ জুড়ে ছড়িয়ে থাকা তার শত্রুর হাত থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য নির্বাচনে জয়লাভ করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, “থান শু বাংলার বাঘের লেজ ধরে রেখেছেন এবং তিনি তা সহজেই ছেড়ে দিবেননা। তাই সব কিছু পরিকল্পনা মত চলার ব্যাপারে তিনি অবশ্যই নিশ্চিত হতে চাইবেন। ’
তবে জেনারেল এবার সেনাবাহিনীর জন্য সংসদে অন্তত এক চতুর্থাংশ আসন ধরে রাখার চেষ্টা করবেন এবং কৌশলে নির্বাচনের নিয়মে জান্তা সমর্থিত দলকে এগিয়ে রাখার চেষ্টা করবেন।
নিউইয়র্ক ভিত্তিক হিউম্যান রাইট ওয়াচের ইলাইনে পিয়ার্সন বলেন, ‘জেনারেল হয়তো তাদের খাকি পোশাকের পরিবর্তে জনগণের মত পোশাক পড়তে পারেন। কিন্তু এমনভাবে সতর্কতার সঙ্গে এ নির্বাচনের পরিকল্পনা করা হয়েছে তাতে ক্ষমতা সেনা নেতৃত্বাধীন জান্তাদের হাতেই থাকে। ’
এদিকে নাইপাইডোকে নতুন রাজধানী করাসহ পুরোপুরি একটি নতুন দেশ গড়ে তুলে জান্তাকে জনসাধারণের শাসক হিসেবে উপস্থাপন করাই এ নির্বাচনের উদ্দেশ্য বলে মন্তব্য করেন মিয়ানমারে কয়েকটি বইয়ের লেখক বার্টিল লিনটনার।
তবে মানবাধিকার কর্মী ও পশ্চিমা বিশ্ব বিস্তৃতভাবে এ নির্বাচনকে নাকচ করে দেন। এমনকি তাদের এ ভূমিকা নিয়েও এদের মধ্যে অনেকে প্রশ্ন তুলেন।
আং নিয়াং ও বলেন, ‘একজনই সবকিছু নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনা করছেন। তাই এ বিষয়গুলো কেন ঘটছে, এ বিষয়ে যুক্তি সঙ্গত একটি কারণে আসা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। ’
১৯৯০ সালের নির্বাচনে মিয়ানমারের বিরোধী দলীয় নেত্রী অং সান সু কি’র ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) বিপুল ভোটে জয়লাভ করলেও এ দলকে কখনোই ক্ষমতা গ্রহণ করতে দেওয়া হয়নি। একইসঙ্গে ২০ বছর ধরে আটক করে রাখা হয়েছে সু কি’কে।
প্রায় অর্ধ শতবর্ষ থেকে ক্ষমতায় থাকা সেনাবাহিনীর জন্য সু কি এখনও সবচেয়ে বড় হুমকি।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৬৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১০