দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর বরাত দিয়ে রোববার (০১ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় দুপুরের দিকে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো এ তথ্য জানিয়েছে।
ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনকালে শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) রাতে (১ জানুয়ারির প্রথম প্রহরে) নগরীর বেসিকতাস এলাকার জনপ্রিয় রেইনা নাইটক্লাবে এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে।
খবরে বলা হয়, একজন বন্দুকধারী নাইটক্লাবে হামলা চালিয়েছে। এ সময় তার বেশ-ভূষা ছিল সান্তা ক্লজের। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে গেছে পুলিশের অতিরিক্ত গাড়ি ও বেশ কিছু অ্যাম্বুলেন্স।
এই হামলাকে ‘বর্বরোচিত’ ও ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ আখ্যা দিয়ে ইস্তাম্বুলের গভর্নর বাসিফ শাহীনের বলেন, লং-ব্যারেলড বন্দুক নিয়ে একজন সন্ত্রাসী রাত সোয়া ১টার দিকে ক্লাবে ঢুকে পড়ে, তার আগে সে ক্লাবের ফটকে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যকে হত্যা করে। এরপর ভেতরে ঢুকে গুলি করে হত্যা করে নববর্ষ উদযাপনে অন্য নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের।
নববর্ষ উদযাপনকে ঘিরে এশিয়া ও ইউরোপ দুই মহাদেশের নগরী বলে খ্যাত ইস্তাম্বুলে কড়া নিরাপত্তা নেওয়া হয়। উৎসব উদযাপন নির্বিঘ্ন করতে রাতভর মাঠে ছিলো ১৭ হাজার পুলিশ সদস্য। এমন নিরাপত্তার বলয় ভেঙেই সশস্ত্র হামলাটি চালানো হয়।
হামলাটি কারা চালিয়েছে ঠিক এ বিষয়ে এখনও কোনো ধারণা না পাওয়া গেলেও গভর্নর জানান, এ ঘটনায় এরইমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে।
এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে ভয়ংকর পরিণতির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়্যব এরদোগান ও প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম।
হামলার কড়া নিন্দা জানিয়ে তুরস্কের পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাসহ বিশ্ব নেতারা। ঘটনার তদন্তে সহযোগিতারও প্রস্তাব দিয়েছেন ওবামা।
এই হামলার ঠিক তিন সপ্তাহ আগে ইস্তাম্বুলেই জোড়া বোমা হামলায় ৪৫ জন নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই ছিলেন পুলিশ সদস্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৭
এইচএ/টিআই