এর আগে নাইটক্লাবে হামলার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে ৮ জনকে আটকের খবর জানায় কর্তৃপক্ষ। সে সময়ও তাদের পরিচয় জানানো হয়নি।
ওই ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল থেকে হামলাকারীর ফেলে যাওয়া জ্যাকেট উদ্ধার করা হয়েছে। এতে ৫০০ তুর্কি লিরা (মুদ্রা) পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, মাত্র সাড়ে ৫ মিনিটে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর ট্যাক্সিতে করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় ওই হামলাকারী।
উত্তরাঞ্চলীয় কুরুসমি জেলা হয়ে বসফরাস তীর দিয়ে হামলাকারী পালিয়ে যায় বলে ধারণা তদন্ত কর্মকর্তাদের।
এর আগে নাইটক্লাবে প্রাণঘাতী ওই হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয় জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। বিবৃতিতে আইএসের পক্ষ থেকে বলা হয়, ধর্মভ্রষ্ট খ্রিস্টানরা ওই নাইটক্লাবে বর্ষবরণ উদযাপন করছিলো বিধায় তাদের ওপর এই হামলা চালানো হয়েছে।
শনিবার রাতে (১ জানুয়ারির প্রথম প্রহরে) এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যবর্তী নগরী খ্যাত ইস্তাম্বুলের বেসিকতাস এলাকার জনপ্রিয় রেইনা নাইটক্লাবে ওই সন্ত্রাসী হামলা হয়। এতে শেষ খবর পর্যন্ত ৩৯ জন নিহত ও ৬৯ জন আহত হয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বিদেশি নাগরিক রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৬
জেডএস