বুধবার (৪ জানুয়ারি) ৩ বিচারকের সামরিক আদালত আজারিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করে এ আদেশ দেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ খবর দিয়েছে।
খবরে বলা হয়, গত বছরের মার্চে অধিকৃত পশ্চিম তীরের হেবরনে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন শরিফ। তার আগের বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ইসরায়েল ও পশ্চিম তীরে ব্যাপকহারে গাড়ি চালিয়ে দেওয়া, ছুরি ও বন্দুক নিয়ে হামলার ঘটনা ঘটতে থাকে। এতে ৪২ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়। সেসময় হামলাকারীদের প্রতিহত করতে সামরিক বাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ওই দায়িত্ব পালনকালে শরিফ নিরস্ত্র অবস্থায় আহত হয়ে পড়ে থাকলেও তাকে খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করেন আজারিয়া।
আদালতে অবশ্য আজারিয়া দাবি করেছেন, শরিফের গায়ে বিস্ফোরক পোশাক (ভেস্ট) পরিধেয় ছিল বলে সন্দেহ হওয়ায় তিনি গুলি করেন। তার আগে আরেক সৈন্যকে ছুরিকাঘাত করেছেন শরিফ।
কিন্তু আদালতে এই দাবি করলেও প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আজারিয়া বলেছিলেন, শরিফ ক্রমশ হুমকি হয়ে উঠছিলেন বলে গুলি করতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। তার আগে অবশ্য ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, আজারিয়া তার পাশের এক সৈন্যকে বলছেন, “এই লোক (শরিফ) আমার বন্ধুকে আঘাত করেছে, তার মরাই উচিত”। এরপরই তিনি খুব কাছ থেকে গুলি করেন শরিফকে।
সংবাদমাধ্যম মনে করছে, এই আলোচিত হত্যাকাণ্ডের বিচার ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে বিভক্তির প্রকাশ করছে। আজারিয়ার পক্ষে জাতীয়তাবাদী ইসরায়েলিদের ৠালি এবং কিছু জ্যেষ্ঠ রাজনীতিককে প্রচারণা চালাতে দেখা গেলেও শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা মনে করেন, আজারিয়ার পদক্ষেপ দেশের সামরিক বাহিনীর মূল্যবোধের প্রতিনিধিত্ব করে না। কোনো নিরস্ত্রকে হত্যা করা ইসরায়েলি বাহিনীর সমর্থন পেতে পারে না।
যদিও ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের জোরালো দাবির প্রেক্ষিতে আজারিয়ার বিচার চলছে। কিন্তু খোদ ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনীই বিভিন্ন সময়ে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের নামে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের হত্যায় অভিযুক্ত হয়ে আসছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৬
এইচএ/