গত ৪ নভেম্বর রিয়াদ থেকে সম্প্রচারিত টেলিভিশন ভাষণে সাদ তার পদত্যাগের ঘোষণা দিলে কয়েকদিন পরে আকস্মিক রিয়াদ সফরে যান ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। এ সফরকালে সাদের সঙ্গে বৈঠক করে ম্যাক্রোঁ তাকে ফ্রান্সে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানান।
এরই ফল হিসেবে শনিবার প্যারিসে পৌঁছান পদত্যাগী লেবানিজ প্রধানমন্ত্রী। লেবাননের টেলিভিশন ফুটেজে দেখা যায়, সাদ আল-হারিরিকে বহনকারী প্লেন ল্য বারগাত বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তিনি মোটর শোভাযাত্রা সহকারে ফরাসি প্রেসিডেন্টের বাসভবনে যান।
ম্যাক্রোঁ’র ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে ফরাসি সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, দুপুরেই প্রেসিডেন্টের বাসভবন এলিসি প্রাসাদে তার সঙ্গে দেখা করবেন সাদ। এরপর অংশ নেবেন মধ্যাহ্ন ভোজে।
রিয়াদে আকস্মিক পদত্যাগ ঘোষণার পর এই প্রথম সৌদির বাইরে বেরোলেন সাদ। পদত্যাগের ঘোষণাকালে লেবানিজ প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, ইরান ও তাদের সমর্থনপুষ্ট হেজবুল্লাহ লেবানন ঘিরে ষড়যন্ত্র করছে। সেজন্য তিনি প্রাণভয়ে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
কিন্তু রিয়াদ থেকে পদত্যাগ করায় তাদের দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী তেহরান ও হেজবুল্লাহর পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, সৌদি শাসকগোষ্ঠী সাদকে আটকে রেখে পদত্যাগ করিয়েছে এবং উল্টো অভিযোগ তুলছে। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে বাকযুদ্ধ শুরু হয়। তেহরানকে তোপ দেগে রিয়াদের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘ইরান যুদ্ধের মতো আচরণ করছে’।
মধ্যপ্রাচ্যের এ রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ে সম্প্রতি জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিগমার গ্যাব্রিয়েল বলেন, সাদকে আটকে রাখা হয়েছে সৌদিতে। এ কারণে বার্লিনে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকেও প্রত্যাহার করে নেয় সৌদি।
সংবাদমাধ্যম বলছে, সাদের এই ফ্রান্স সফর তেহরান-হেজবুল্লাহ-বার্লিনের অভিযোগকে খণ্ডিত করেছে। কিন্তু লেবানিজ প্রেসিডেন্ট মাউকেল আউনসহ দেশটির রাজনৈতিক নেতৃত্ব আশা করছে, সাদ স্বদেশে ফিরে সব অচলাবস্থার নিরসন করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৭
এইচএ/