ক্যালিফোর্নিয়ার ব্যাকার্সফিল্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার (১৯ নভেম্বর) তার মৃত্যু হয়। এ মাসের শুরুতে ম্যানসনকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
ষাটের দশকের শেষভাগে ম্যানসনের নির্দেশে পরিচালিত বেশ কিছু ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের জন্য তিনি কুখ্যাত হয়ে আছেন। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর থেকেই তার জীবনের বেশিরভাগ সময় কেটেছে কারাগারে।
ম্যানসনের প্রথম দিকের অপরাধ ছিল গাড়ি চুরি ও জালিয়াতি। যৌনকর্মীদের দালাল হিসেবেও তিনি কাজ করেছেন বলে মনে করা হয়।
শ্বেতাঙ্গ এই অপরাধী নিজেকে বিভিন্ন সময়ে পুনরুজ্জীবিত যিশু খ্রিস্ট হিসেবেও দাবি করেছেন। ষাটের দশকের শেষভাবে ‘ম্যানসন ফ্যামিলি’ নামে একটি গোষ্ঠী গঠন করেন তিনি। এই গোষ্ঠী নানা সময়ে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালাতে থাকে।
ম্যানসনেরই নির্দেশে ১৯৬৯ সালে চলচ্চিত্র পরিচালক রোমান পোলানস্কির সাড়ে ৮ মাসের অন্ত্বঃসত্বা স্ত্রী মডেল ও অভিনেত্রী শ্যারন টেইটকে বর্বরোচিত কায়দায় হত্যা করা হয়। ছুরিকাঘাতে খুন করা হয় শ্যারনের পরিবারের আরও চারজনকে।
প্রায় একই সময়ে লস অ্যাঞ্জেলেসে এক ধনকুবের দম্পতিকেও খুন করে ‘ম্যানসন ফ্যামিলি’। এসব হত্যায় দোষী হয়ে ম্যানসন ক্যালিফোর্নিয়ার করকোরান স্টেট কারাগারে সাজা ভোগ করছিলেন।
ম্যানসনের অপরাধ জীবন ও হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিভিন্ন সময়ে চলচ্চিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র তৈরি হয়েছে। মনেপ্রাণে বর্ণবাদী ম্যানসন আশা করতেন, তার এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী করা হবে আমেরিকার কৃষ্ণাঙ্গদের। তাতে বাড়বে বর্ণবাদী সংঘাত। আর এই সংঘাতের নেতৃত্বে থাকবেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৭
এইচএ/