জার্মানিজুড়ে তল্লাশির অংশ হিসেবে কাসেল, হ্যানোভার, ইসেন ও লিপজিগ শহর থেকে তাদের আটক করা হয়। যাতে অংশ নেন পাঁচ শতাধিক পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, আটককৃতরা সিরীয় নাগরিক। তাদের বয়স ২০ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে। অভিবাসন প্রত্যাশী আটক ৬ জন ২০১৪ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে জার্মানিতে প্রবেশ করে।
বড়দিন ঘিরে জনবহুল জায়গায় হামলার চালানোর উদ্দেশে অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে আইএস সদস্যরা সংঘঠিত হচ্ছে, এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানে নামে জার্মান পুলিশ।
তবে তদন্তের স্বার্থে আটককৃতদের বিস্তারিত পরিচয় জানায়নি কর্তৃপক্ষ।
ইউরোপে আসন্ন ক্রিস্টমাস বা বড়দিন এবং ইংরেজি নববর্ষকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি সন্ত্রাসী হামলার বাড়তি সতর্কতা জারি করে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন এবং ৩১ ডিসেম্বর রাতে ইংরেজি নববর্ষবরণের আয়োজন হবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের সবশেষ সতর্ক বার্তায় বলা হয়, গত বছরের ডিসেম্বরে জার্মানির বার্লিনে একটি ক্রিস্টমাস মার্কেটে হামলায় ১২ জনের প্রাণহানি হয়। এরপর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে নববর্ষবরণের রাতে একটি নাইটক্লাবে হামলায়ও ৩৯ জনের প্রাণহানি ঘটে। এছাড়া, যুক্তরাজ্য, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, রাশিয়া, স্পেন ও সুইডেনে সাম্প্রতিক হামলায় এটা স্পষ্ট হয়েছে যে আল-কায়েদা ও আইএসের মতো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো এখনও সক্রিয় এবং সক্ষম।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৭
জেডএস