জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা জারির পরও বারবার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া ও যুক্তরাষ্ট্র-উত্তর কোরিয়ার মধ্যে উত্তেজনার প্রেক্ষিতে চীন এ পদক্ষেপ নিয়েছে বলে দাবি করছে সংবাদমাধ্যমগুলো।
বেইজিং ভিত্তিক এয়ারলাইন্স কোম্পানিটির এক অফিসিয়াল প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বুধবার (২২ নভেম্বর) এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ডিং নামের কোম্পানির এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, বুধবার থেকে ওই রুটে ফ্লাইট ওড়ানো স্থগিত করা হয়েছে। কারণ সেখানে ব্যবসা ভালো যাচ্ছিলো না। তবে কবে নাগাদ তা পুনরায় চালু হতে পারে সে বিষয়ে কিছুই বলেননি তিনি।
পিয়ংইয়ংয়ে চীনের দূতের সংক্ষিপ্ত সফরের পরই রাষ্ট্রীয় পতাকাধারী কোম্পানিটির পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। আর এর একদিন আগেই উত্তর কোরিয়াকে ‘সন্ত্রাসে পৃষ্টপোষকতা দানকারী রাষ্ট্রে’র তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
খবরে বলা হয়, এয়ার চায়নার বেইজিং টু পিয়ংইয়ং ফ্লাইটটি সপ্তাহের সোম, বুধ ও শুক্রবার চলাচল করে, যা শুরু হয় ২০০৮ সালে। কিন্তু এরপর থেকেই কোনো কারণ ছাড়াই ঘনঘন এই রুটে ফ্লাইট বাতিল করা হতো।
গত বছর শীতকালে এয়ার চায়না তাদের ফ্লাইট চালানো বন্ধ রাখে, তবে গত মার্চে তা ফের চালু করা হয়। এছাড়া কোম্পানিটির ২০১৮ সালে কোনো টিকিট বিক্রি হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কোম্পানিটির পিয়ংইয়ং কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, প্রচুর যাত্রী চাহিদা থাকলে এয়ার চায়না আবারও বেইজিং-পিয়ংইয়ং রুটে প্লেন চালাতে পারে। যদিও এ রুটে এখন কোনো শিডিউল নেই।
তবে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার জানায়, আশা করা যাচ্ছে- সব পক্ষই কোরীয় উপদ্বীপে শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যার সমাধান করবে। তবে এয়ার চায়নার পরিস্থিতি সম্পর্কে আমরা অবগত নয়।
এয়ারলাইন্সটি তার বাজার চাহিদার উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
বেশ ক’দিন ধরেই ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া নিয়ে উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় চলে ট্রাম্প-উনের মধ্যেও।
এর মধ্যে সম্প্রতি জাপান ও চীন সফর করেছন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সফরে চীনকে উত্তর কোরিয়ার উপর চাপ অব্যাহত রাখতে বলেছেন তিনি। একই আহ্বান জানিয়েছেন জাপানকেও।
আর ওয়াশিংটন ফিরে উত্তর কোরিয়াকে ‘স্পন্সর অব টেরর’র তালিকাভুক্তির কথা ঘোষণা দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৭
এমএ