ইশতেহারের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, নেপালের দক্ষিণাঞ্চলের নিম্নভূমিতে বসবাসকারী মাদেশি, থারু, দলিত, মুসলিম ও আদিবাসীর মতো জনগোষ্ঠীগুলো সবাই নেপালী। কিন্তু আরো বৃহত্তর প্রেক্ষিত থেকে দেখলে, তারা এসেছে ভিন্ন জাতি থেকে।
কিন্তু হিমালয় পাদদেশে তিস্তা, তোর্সা, রায়ডাক, সঙ্কশ ইত্যাদি নদীর বয়ে আনা বালি, নুড়ি ও পাথরে গড়ে ওঠা তরাইকে পৃথক রাষ্ট্র করার প্রস্তাব তোলার জন্য দলটির ভেতরেই উঠেছে প্রবল সমালোচনার ঝড়। দলীয় ফোরামে আলোচনা না করে ইশতেহার প্রকাশ ও তরাই অঞ্চলকে পৃথক রাষ্ট্র করার প্রস্তাব দেওয়ায় দলটির সমন্বয়ক মহন্ত ঠাকুরকে তুলোধুনো করছেন বিভিন্ন স্তরের নেতারা।
সাধারণ সম্পাদক মনিশ সুমন ও কেশব ঝা বলেন, যখন আমরা সমন্বিত জাতি হিসেবে নিজেদের অবস্থান আরো শক্ত করতে চাইছি, তখন দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলোচনা না করে তরাইকে পৃথক রাষ্ট্র করার প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা রাষ্ট্র ভাগের বিপক্ষে।
তারা বলেন, এ প্রস্তাব কারো ব্যক্তিগত মতামত হতে পারে, কিছুতেই দলীয় নয়। আমরা একটি পৃথক রাষ্ট্রের কথা কল্পনাই করতে পারি না। আমরা ঝাঁপা থেকে কাঞ্চনপুর পর্যন্ত তরাই জেলাগুলোকে নিয়ে একটি অবিভক্ত প্রদেশ চাই, পৃথক রাষ্ট্র নয়।
তরাই এর অবস্থান হিমালয় পর্বতমালার দক্ষিণ থেকে গাঙ্গেয় সমভূমির উত্তরের মধ্যবর্তী অঞ্চলে। অঞ্চলটি নেপাল ছাড়াও পশ্চিমে যমুনা নদী ধরে ভারতের হিমাচল, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড প্রদেশ থেকে পূর্বে উত্তর প্রদেশ ও বিহার পর্যন্ত বিস্তৃত। পূর্বের ব্রহ্মপুত্র নদীর অববাহিকায় পশ্চিমবঙ্গ, ভুটান ও আসামে এ অঞ্চলের কিয়দংশ ডুয়ার্স নামে পরিচিত। আরজেপিএন-এর প্রস্তাব তাই কেবল নেপাল নয়, ভারতের জন্যও বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৭
জেডএম/