স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) নৌবাহিনীর মুখপাত্র ক্যাপ্টেন এনরিক বালবি আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করেন। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ইউশিয়ার ঘাঁটি থেকে বুয়েন্স এইরেসের দক্ষিণের মার ডেল প্লাটা ঘাঁটিতে যাওয়ার সময় ১৫ নভেম্বর যোগাযোগ হারিয়ে ফেলে এআরএ সান জুয়ান নামে যুদ্ধযানটি।
সম্প্রতি সাবমেরিনটির সবশেষ অবস্থানে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হওয়ায় সেখানে থাকা সবার বাঁচার আশা ম্লান হয়ে গেছে জানিয়ে এনরিক বালবি বলেন, সর্বাত্মক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও আমরা সাবমেরিনটিকে পেলাম না।
ক্যাপ্টেন বালবি বলেন, যে ক’দিন অনুসন্ধান তৎপরতা চালানোর কথা, তার চেয়ে দ্বিগুণ সময় ধরে আমরা কাজ করেছি, যেন অন্তত নাবিকদের উদ্ধারের সম্ভাবনার ব্যাপারে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারি। কিন্তু আমাদের হতাশ হতে হলো।
নাবিকদের কপালে কী ঘটেছে সে বিষয়ে কিছু নিশ্চিত না হওয়া গেলেও নৌবাহিনীর মুখপাত্র বলেন, যেসব এলাকায় আমরা ঘুরেছি, কোথাও সাবমেরিনের ধ্বংসাবশেষের নির্দশন পাইনি।
সাবমেরিনটি যোগাযোগ হারানোর পর সংবাদমাধ্যম জানায়, নৌবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ কক্ষের রেকর্ড অনুযায়ী, এটি সবশেষ উপকূল থেকে ৪৩২ কিলোমিটার দূরে মহাসাগরের গভীর জলসীমায় অবস্থান করছিলো।
১৯ নভেম্বর নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, স্যাটেলাইট সিগন্যালের মাধ্যমে সাবমেরিনের অবস্থান শনাক্ত করা গেছে। ৪৪ নাবিকের সবাই বেঁচে আছেন। সাতবার ‘স্যাটেলাইট কল’ ব্যর্থ হওয়ার পর নাবিকেরা পুনরায় সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা করেন।
সংশ্লিষ্টদের ধারণা, বৈদ্যুতিক সমস্যার কারণে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে সাবমেরিনটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
এটিকে উদ্ধারে নৌ ও আকাশযান যুক্ত হয়। আর্জেন্টিনার নৌবাহিনীর উদ্ধার কাজে হাত বাড়ায় মহাদেশীয় প্রতিবেশী ব্রাজিল, উরুগুয়ে, পেরু, চিলি এবং মহাসাগর সংশ্লিষ্ট যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকা।
ডিজেল ও বিদ্যুৎচালিত যুদ্ধযানটি ১৯৮৩ সালে যাত্রা শুরু করে। তখন এটাই ছিল সর্বাধুনিক সাবমেরিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৭
এইচএ/