তবে রাজ্যের প্রধান দুই বিরোধী দল সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজ পার্টি তাদের হারের জন্য দায়ী করেছে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমকে। তাদের সঙ্গে সুর মিলিয়েছে কংগ্রেসও।
দলগুলো পৌরসভার ভোটে পরাজয়ের খলনায়ক হিসেবে তুলে ধরেছে ইলেকট্রনিক ভোটযন্ত্রকেই। তাদের দাবি, ইভিএমে কারচুপি করে ভোটে জিতেছে বিজেপি। ব্যালটে ভোট হলে নির্ঘাত হারতো নরেন্দ্র মোদির দল।
কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে উত্তরপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব অভিযোগ করে বলেন, ‘১৬টি পৌরসভার মধ্যে ১৪টিতে বিজেপি জিতেছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী যেখানে ভোট দিয়েছেন, সেই ওয়ার্ডে বিজেপি হেরেছে! উপমুখ্যমন্ত্রীর জেলাতেও বিজেপি হেরেছে। যেখানে ইভিএমে ভোট হয়েছে, সেখানে বিজেপি পেয়েছে ৪৭% ভোট। আর যেখানে ব্যালটে ভোট হয়েছে, সেখানে বিজেপি ১৫%-এ নেমে গিয়েছে। ’’
প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশের সদ্য সমাপ্ত পৌরভোটের কিছু কিছু জায়গায় ভোট হয়েছে ব্যালট পেপারে। তবে বেশিরভাগ স্থানেই ভোট হয়েছে ইভিএমে।
এ বিষয়ে মুখ খোলেন উত্তর প্রদেশের অপর প্রভাবশালী রাজনীতিক, সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও বহুজন সমাজপার্টির নেত্রী মায়াবতীও।
রাজ্যের দলিত সম্প্রদায়ের মুখ বলে পরিচিত মায়াবতী বলেন, ২০১৯-এর সাধারণ নির্বাচনে ইভিএমের বদলে ব্যালট পেপার ব্যবহার হলেই বিজেপি হারবে। পৌর নির্বাচনের এই ফলে প্রমাণিত হয় না যে, মানুষের সমর্থন বিজেপির দিকে। এই দাবি করতে হলে, আগে ইভিএম এর বদলে ব্যালটের লড়াইয়ে নেমে দেখাক। ভোটযন্ত্রের বদলে ব্যালটে ভোট হলে ফলাফল এ রকম হবে না। ’’
বসে নেই কংগ্রেসও। গুজরাটেও ইভিএমে ভোট কারচুপির আশঙ্কা করে কংগ্রেস নেতা মোহন প্রকাশ বলেছেন, ‘বিজেপির জন্য এই নির্বাচন সহজ হবে না। ইভিএমকে কতটা বিকৃত করতে পারবে, তার ওপরেই নির্ভর করবে ওদের হার-জিত। ’’
তবে বিরোধীদের এসব অভিযোগ কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন বিজেপি নেতারা। গুজরাটে নির্বাচনী প্রচারণায় থাকা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেছেন, ‘‘বিরোধীরা জানে, তাদের হার নিশ্চিত। তাই আগে থেকেই অজুহাত সাজাচ্ছে। ’’
উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী দীনেশ শর্মা ইভিএম কারচুপি নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, ‘‘ইভিএমে ত্রুটি নেই। ত্রুটি বিরোধীদের দলে ও মনে। মানুষ আর তাদের সঙ্গে নেই’’।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৭
আরআই