জর্দানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনকে ইতোমধ্যে বলেছেন, এমন ঘোষণা দেওয়া হলে এটি হবে আরব ও মুসলিম বিশ্বের জন্য ক্ষোভের কারণ।
মনে করা হচ্ছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ইস্যুতে কথা বলবেন।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর থেকেও এ বিষয়ক কোনো ঘোষণা আসেনি।
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, যাতে করে ট্রাম্প এই ধরনের কোনো ঘোষণা না দেন। তার উপদেষ্টা মাজদি আল-খালিদি সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ইতোমধ্যে মাহমুদ আব্বাস ফ্রান্স ও তুরস্কের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলেছেন।
১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর পূর্ব জেরুসালেম দখলে নেয় ইসরায়েল। ১৯৮০ সালে এই এলাকা ছিনিয়ে নিয়ে ইসরায়েলের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়। তবে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, এটি ইসরায়েলের অধিগৃহীত অঞ্চল।
ইসরায়েল দাবি করে, জেরুসালেম তাদের অবিচ্ছেদ্য ও অখণ্ডনীয় রাজধানী। তবে ফিলিস্তিনিরা ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে পূর্ব জেরুসালেমকে দেখতে চান। মূলত ১৯৪৮ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন জেরুসালেমের মর্যাদা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি এবং তারা বলে এসেছে, আন্তর্জাতিক সমঝোতার মাধ্যমে এর সুরাহা হবে।
২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের সময় ট্রাম্প ইসরায়েলের প্রতি শক্তিশালী সমর্থন ব্যক্ত করেন। তিনি জানিয়েছিলেন, ক্ষমতায় গেলে প্রথম দিনই নির্দেশ দেবেন, তেল আবিব থেকে মার্কিন দূতাবাস জেরুসালেমে স্থানান্তর করার। এতোদিন নির্দেশ না এলেও সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনা হচ্ছে, বুধবার এক বক্তব্যে সেই ঘোষণা দিতে পারেন মার্কিন কমান্ডার ইন চিফ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৭
আইএ/