এ ব্ল্যাক হোলের মাধ্যমে মহাবিশ্বের সূচনা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।
চিলির লাস ক্যাম্পানাসে অবস্থিত মানমন্দির থেকে এ ব্ল্যাক হোলটির সন্ধান নিশ্চিত করেন জ্যোতির্বিজ্ঞানী এডুয়ার্ডো ব্যানাডোস।
বলা হচ্ছে, ‘বিগ ব্যাং’র পর বড়োজোর ৬৯ কোটি বছর পর এ ব্ল্যাক হোলটি সৃষ্টি হয়েছে। এসময় মহাবিশ্বের বয়স ছিল বর্তমান বয়সের মাত্র পাঁচ শতাংশ। তখন বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সবে সংগঠিত হতে শুরু করেছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এ সময়টার নাম দিয়েছেন ‘অন্ধকার যুগ’।
বিগ ব্যাংয়ের কয়েক কোটি বছর পর অন্ধকার যুগের সূচনা হয়েছিল। তখনও কোনো ছায়াপথ, নক্ষত্র বা সুপারনোভা সৃষ্টি হয়নি। মহাবিশ্বজুড়ে বিরাজ হয়েছিল অবয়বহীন হাইড্রোজেন গ্যাস। কয়েক কোটি বছর এমন পরিস্থিতি বজায় ছিল।
নতুন আবিষ্কৃত ব্ল্যাক হোলটি একটি ছায়াপথের কেন্দ্রে অবস্থান করছে এবং এর আশেপাশের সব গ্রহ-উপগ্রহ অনেক দ্রুত গ্রাস করে ফেলেছে।
জ্যোতির্বিজ্ঞানী এডুয়ার্ডো ব্যানাডোস বলেন, ‘মহাবিশ্বের বয়স যদি হয় ৫০ বছর, তবে আমরা এর আড়াই বছর বয়সের ছবি দেখছি। বিগ ব্যাংয়ের এতো অল্প সময়ের মধ্যেই কীভাবে একটা ব্ল্যাক হোল সৃষ্টি হলো, তা আশ্চর্যই বলতে হবে’।
ব্যানাডোস আরও জানান, মহাবিশ্বের ইতিহাসের এতো প্রাচীন কোনো বস্তুর সন্ধান পেতে অর্ধযুগেরও বেশি সময় ধরে অনুসন্ধান চালাতে হয়েছে।
আবিষ্কৃত ব্ল্যাক হোলটি মহাবিশ্বের সূচনালগ্ন সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর জানাতে পারে বলে তিনি মনে করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৭
এনএইচটি/আইএ