২০১৮ সালের মার্চের মধ্যেই দেশটিতে চলচ্চিত্র প্রদর্শনের প্রেক্ষাগৃহ বা সিনেমা হল চালু হবে। আগামী ১২ বছরের মধ্যে মুসলমানদের পবিত্র দুই মসজিদের দেশটিতে তিনশ’ প্রেক্ষাগৃহ স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় সরকার।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সৌদি সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রী আওয়াদ আলওয়াদ বলেন, প্রেক্ষাগৃহ সৌদির অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বিকাশকে প্রভাবিত করবে। এর মাধ্যমে নতুন কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণের সুযোগ সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি দেশের বিনোদন জগতও সমৃদ্ধ হবে।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় জানায়, সৌদির সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংস্কারের অংশ হিসেবে প্রভাবশালী ‘ক্রাউন প্রিন্স’ মোহাম্মদ বিন সালমানের পরিকল্পনা অনুযায়ী এ পদক্ষেপটি নেওয়া হচ্ছে। খুব শিগগির সিনেমার লাইসেন্স দেওয়া শুরু হবে।
সৌদি সরকারের এ সিদ্ধান্ত ব্যাপকভাবে সমাদৃত হলেও এতে দেশটির বহু বছরের রক্ষণশীল ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে বলে মনে করছেন অনেক সৌদি নাগরিক।
প্রেক্ষাগৃহে নারী-পুরুষদের জন্য আলাদা বসার ব্যবস্থা থাকবে কি-না, এ সম্পর্কে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, নারী ও পুরুষদের বসার স্থানের মাঝ বরাবর দেয়াল থাকতে পারে অথবা নারীদের সিনেমা হলে প্রবেশ করতে দেওয়া না-ও হতে পারে।
সালমান আল-সৌদ নামে একজন শিক্ষার্থী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, একটা বহু বছরের পুরানো রক্ষণশীলতাকে একদিনে পরিবর্তন করা ঠিক হবে না। অনেকেই এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে। ধীরে ধীরে জনগণকে এসব পরিবর্তনের সঙ্গে অভ্যস্ত করতে হবে।
সরকারের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে ২৪ বছর বয়সী সালমান বলেন, বিশ্ব এবার দেখবে শিল্প-সংস্কৃতিতে আমরাও সমান পারদর্শী।
কট্টরপন্থিদের বিরোধিতার কারণে সত্তরের দশকে সৌদি আরবে সিনেমা প্রদর্শনী বন্ধ করে দেওয়া হয়। বর্তমানে তেলভিত্তিক অর্থনীতি থেকে সরে আসার উদ্দেশ্যে আবার সিনেমা হল চালু করার সিদ্ধান্ত নেয় সৌদি সরকার। এ বছর সেদেশে কনসার্ট আয়োজনেরও অনুমতি দেয় প্রশাসন।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৭
এনএইচটি/এইচএ/