শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) নয়া দিল্লিতে পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে (২৪ আকবর রোড) আয়োজিত এক জনসভায় মা সোনিয়া গান্ধীর কাছ থেকে তিনি কার্যভার বুঝে নেন।
বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর উদ্দেশ্যে ভাষণে রাহুল বলেন, কংগ্রেস একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দেশকে এগিয়ে নিয়েছিল কিন্তু বর্তমান নরেন্দ্র মোদি সরকার পিছিয়ে দিচ্ছে।
এ সময় তিনি সরকারি কার্যক্রম ও দেশ পরিচালনাকে ‘মধ্যযুগীয়’ বলেও আখ্যা দেন। প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে বলেন, আমি কথা দিচ্ছি কংগ্রেসকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবো। পুরনো এই দলটি হবে বৃদ্ধ ও তরুণ সবার দল।
দায়িত্ব গ্রহণকাল তাকে বিশেষ সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়। সেসময় মঞ্চে ছিলেন সোনিয়া গান্ধী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ।
সদ্য সাবেক হওয়া সভাপতি সোনিয়া বক্তব্যের সময় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, রাহুল আমার ছেলে, এ জন্য প্রশংসা করে বলছি না। তার দারুণ শক্তি রয়েছে দল ও দেশ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। সে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সক্ষম এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার সার্বিক সক্ষমতা রয়েছে।
গতকাল শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সোনিয়া বলেন, এখন আমার ভূমিকা হবে অবসরে যাওয়া। কয়েক মাস ধরে দলীয় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে রাহুলই।
৪৭ বছর বয়স্ক রাহুল পার্টির বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন সোনিয়া। তার কণ্ঠে ছিল, সামনে অনেক কাজ পড়ে আছে, আগামীতে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। নতুন বছরে সেগুলোই মূল চ্যালেঞ্জ বিরোধী এই দলের জন্য।
১৯৯৮ সাল থেকে সোনিয়া কংগ্রেস প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এখন বয়স ৭১ বছর।
অবসরে যাচ্ছেন সোনিয়া গান্ধী
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৭
আইএ