সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব-দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য জর্জিয়ার বিমানবন্দরটিতে এই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতার খবর দেয়। এই বিমানবন্দরে প্রতিদিন আড়াই হাজার ফ্লাইট ওঠা-নামা করে।
সংবাদমাধ্যম জানায়, বিদ্যুৎ বিছিন্ন হয়ে পড়ার কারণে বিমানবন্দরটির অনেক টার্মিনাল এবং ফ্লাইটে অন্ধকারে বসে থাকতে হয় যাত্রীদের। আংশিক কার্যক্রম বন্ধ থাকে ফ্লাইট ওঠা-নামা।
কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ স্বাভাবিক করতে তাৎক্ষণিক উদ্যোগী হলেও সংবাদমাধ্যম বলছে, সোমবার হাজারেরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে আরও শত শত ফ্লাইট বাতিলের আশঙ্কা করা হচ্ছে। যে ফ্লাইটগুলো এই বিমানবন্দরে নামার কথা ছিল, তাদের অন্য নিকটস্থ বিমানবন্দর বা তাদের ছেড়ে আসা বিমানবন্দরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এক বিবৃতিতে ‘হার্টসফিল্ড-জ্যাকসন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট’ কর্তৃপক্ষ জানায়, রোববার (১৭ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুর ১টার পর (বাংলাদেশ সময় রাত ১২টা) বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতার কবলে পড়ে বিমানবন্দরটি। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা এভাবে চলতে থাকার পর স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার দিকে (বাংলাদেশ সময় ভোর ৫টা) বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়।
বিমানবন্দরটিতে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ‘জর্জিয়া পাওয়ার’ বলেছে, বৈদ্যুতিক স্থাপনার তলদেশে কোনো অগ্নিকাণ্ডের ফলে এই বিপর্যয় তৈরি হয়েছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কর্তৃপক্ষ সচেষ্ট।
আটলান্টার মেয়র কাসিম রিদ এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে অগ্নিকাণ্ড তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। বিপর্যয়ের শিকার ইউনাইটেড, সাউথওয়েস্ট ও আমেরিকান এয়ারলাইন্সসহ শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলোও যাত্রীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৭
এইচএ/