ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মগুরু বলেছেন, যেসব মানুষকে তাদের দেশ ও ঘরবাড়ি থেকে উৎখাত করা হয়েছে, যারা উন্নত জীবনের আশায় একস্থান থেকে অন্যত্র পাড়ি জমিয়েছেন তাদের আমরা উপেক্ষা করতে পারি না।
লাখো-কোটি এমন শরণার্থী বা অভিবাসীর অধিকার বিষয়েও কথা বলেন পোপ।
খ্রিস্টানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র বড়দিন উপলক্ষে ভ্যাটিকান সিটিতে চার্চে বিশেষ প্রার্থনায় তিনি এসব বিষয় তুলে আনেন। একইসঙ্গে মেরি ও জোসেফ কীভাবে নাজারেথ থেকে বেথেলহাম পৌঁছান এবং কোনো আশ্রয় পাননি, বাইবেল থেকে সেই ইতিহাস তুলে ধরেন পোপ।
বক্তব্যে ৮১ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন ধর্মগুরু আশ্রয়প্রার্থীদের সর্বত্র স্বাগত জানানোর বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।
সিরিয়া, ইরাক, ইয়েমেনসহ বিভিন্ন দেশের শরণার্থীরা যুদ্ধ ও সংঘাতের বিরুদ্ধে শান্তি খুঁজতে গত কয়েক বছরে ইউরোপের দিকে পাড়ি জমিয়েছেন। দক্ষিণ এশিয়ায় মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের জাতিগত নিধন করে বাংলাদেশে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা ঠেলে পাঠিয়েছে তাদের সেনাবাহিনী। এ বিষয়ে পোপ নিন্দাও জানিয়েছেন ইতোপূর্বে। কিছুদিন আগে বাংলাদেশ সফরে তিনি রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পোপ তাদের ঈশ্বরের ছায়ার সঙ্গেও তুলনা করেছেন।
বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিলেও যুক্তরাষ্ট্র শরণার্থী ইস্যুতে বিরোধী মনোভাবে রয়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ বিষয়ে কঠোর। ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও তাদের আশ্রয় সীমিত। পোপের কথায় দুই কোটি ২০ লাখ শরণার্থীর কথা উঠে এসেছে।
ক্রিসমাসের আনন্দ এখন দেশে দেশে
বাংলাদেশ সময়: ১০০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৭
আইএ