উত্তেজনা প্রশমনের কয়েক মাস পর চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির মুখপাত্র গ্লোবাল টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। ট্যাবলয়েড দৈনিকটির ওই প্রতিবেদন এসেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমেও।
গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত রাষ্ট্রের কর্তাব্যক্তিরা কখনোই চীনকে বিশ্বাস করতে পারেন না। যদিও বেইজিং কোনোভাবেই দক্ষিণ এশিয়ায় নয়াদিল্লিরর সঙ্গে লাগামছাড়া কূটনৈতিক দ্বন্দ্বে জড়াতে চায় না।
এ অবিশ্বাসের জন্য ভারতের দক্ষিণ এশিয়া নীতিই দায়ী বলে মন্তব্য করা হয় গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদনটিতে।
এতে বলা হয়, দীর্ঘ সীমান্ত সমস্যার মতো বিষয় সহসা মিটে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা না থাকলেও দু’দেশকেই চেষ্টা করতে হবে যেন সমস্যাগুলির জন্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নষ্ট না হয়।
ভারতের কর্তাব্যক্তিরা সবসময়েই ভাবেন, চীন তাদের চার দিক থেকে ঘিরে ফেলার চেষ্টা করছে। সেজন্য সম্প্রতি বেইজিংয়ে চীন, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক নিয়েও গা ঝাড়া দেয় নয়াদিল্লি। এই গা ঝাড়া দেওয়ার পেছনে কাজ করে বেইজিং ও ইসলামাবাদের এক বিবৃতি। সেই বিবৃতিতে বলা হয়, চীন-পাকিস্তান তাদের বাণিজ্যিক করিডরকে আফগানিস্তান পর্যন্ত নিয়ে যেতে আগ্রহী।
এরপরই বেইজিংয়ের কড়া সমালোচনায় নামেন ভারতীয় বিশ্লেষকরা। তাদের দাবি, উত্তেজনা প্রশমিত হলেও আফগানিস্তানকে ওই বাণিজ্যিক করিডর প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করে ভারতের চারপাশে নিজেদের প্রভাব আরও বাড়াতে চাইছে চীন। এতে করে প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতা আরও বেড়ে যাবে।
গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ভারত তার আঞ্চলিক অনুগত দেশগুলোর সঙ্গেই সম্পর্ক এগিয়ে নিতে বেশি মনোযোগী। বেইজিং-নয়াদিল্লি বোঝাপড়ার দূরত্ব সৃষ্টির ক্ষেত্রে এই একমুখী চিন্তাও দায়ী অনেকখানি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৭
আরএম/এইচএ/