সোমবার (০১ জানুয়ারি) ভোর ৬টা থেকে সবগুলো অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট উড়তে না পারায় শতাধিক পর্যটক আটকে আছেন। অনেকে প্রায় ফাঁকা টার্মিনালের ছবি টুইট করেছেন, যেখানে যাত্রীদের মেঝে ও সিঁড়িগুলোতে বসে থাকতে দেখা গেছে।
এখন পর্যন্ত কোনো ফ্লাইট বাতিল করা হয়নি। তবে নামার সময় মাত্র কয়েকটি উড়োজাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আবহাওয়া অধিদফতর দিল্লির বিভিন্ন অংশ থেকে ৫.৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঘন কুয়াশার কারণে বর্তমানে বিমানবন্দরটিতে কোনো ফ্লাইট ওঠা-নামা করছে না।
ফ্লাইট পরিচালনার জন্য ন্যূনতম অন্তত ১২৫ মিটারের দৃশ্যমান পরিস্থিতির প্রয়োজন, কুয়াশায় তাও নেমে যাওয়ায় রোববার (৩১ ডিসেম্বর) ভোর থেকে বিমানবন্দরটিতে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ৫০ মিটারেরও নিচে নেমে গেছে সে অবস্থা।
শুধু ফ্লাইট নয়, ঘন কুয়াশায় ব্যাঘাত ঘটছে যোগাযোগের অন্য মাধ্যমগুলোতেও। রাজধানীর সড়কপথে যানবাহন চলছে খুব ধীরগতিতে। রেলপথে শিডিউল বিপর্যয়ে চরম অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে ট্রেন চলাচলে। উত্তর রেলওয়ের ১৫টি ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। রাজধানীগামী ৫৬টি দেরিতে ছেড়ে গেছে এবং ২০টির শিডিউল পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে।
আর সাবধানে মোটরসাইকেল চালাতে চালকদের অনুরোধ জানিয়েছে ট্রাফিক পুলিশ।
রোববার রাতেও দিল্লি বিমানবন্দরের ফ্লাইটগুলো দমকা হাওয়া ও নিম্ন দৃশ্যমানতায় ৭.৩০ থেকে ১১ মিটারের মধ্যে আক্রান্ত হয়। ২৭০টির বেশি ফ্লাইট বিলম্বিত, ৪০টি ফ্লাইট অন্য বিমানবন্দরে পাঠানো ও বেশ কয়েকটি বাতিল করা হয়। দূষণের মাত্রাও গত রাত থেকে বেড়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৮
এএসআর