এই বালক জঙ্গির নাম জানা না গেলেও এটা জানা গেছে যে, সে একজন পুলিশ কনস্টবলের পুত্র। মাত্র মাসকয় আগে সন্ত্রাসী এই সংগঠনটিতে নাম লেখায়।
আট মিনিট স্থায়ী এই ভিডিওবার্তায় হামলার বিস্তারিত পরিকল্পনার কথা জানানোর পাশাপাশি জইশ-এ-মোহাম্মদ নামের সংগঠনে মুসলিম তরুণদের দলে দলে যোগ দেবার আহবানও জানায় সে।
ভিডিওবার্তার শুরুতেই সিআরপিএফ-এর উদ্দেশে সে বলে: ‘‘ইনশাল্লাহ, যখন তোমাদের কাছে এই বার্তাটি গিয়ে পৌঁছবে, ততক্ষণে তোমরা বেহেস্তে আমার খোদাতাআলার মেহমান হয়ে যাবে। ’’
ভিডিওবার্তাটি এরই মধ্যে ভাইরাল হয়ে গেলেও তরুণ এই জঙ্গির নামটি জানা যায়নি। তবে এতো অল্পবয়সী আত্মঘাতীদের হামলার আগ মুহূর্তে এভাবে ভিডিওবার্তা রেকর্ড করে তা ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ভারতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের কাছে একদমই নতুন। নিরাপত্তা বাহিনীর বিশেষজ্ঞরা ভিডিওবার্তাটি খতিয়ে দেখছেন। পুলিশের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমগুলোকে বলেছেন, " সত্যিই এটা এক বড় উদ্বেগের বিষয়। এই আত্মঘাতী হামলাটি এমন এক সময়ে হলো যখন আমরা স্থানীয় তরুণদের ভুল পথ থেকে সমাজের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনবার চেষ্টা করছি। অনেকেই তাতে সাড়া দিয়ে তাদের পরিবার পরিজনের কাছে চলে এসেছে। এমন সময় এহেন হামলা কোনোভাবেই ভালো সংকেত বহন করছে না। ’’
যে জঙ্গিটি এখনো বেঁচে আছে সে এখনো থেমে থেমে বন্দুকযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। তার বেপরোয়া গুলির কারণে নিহত জওয়ানদের একজনের মরদেহ উদ্ধার করা যাচ্ছে না। অবশিষ্ট জঙ্গিটি ভবনের যে অংশ থেকে গুলি চালাচ্ছে, সোমবার সকালবেলা নিরাপত্তাবাহিনী সেটির ছাদে বোমা মেরেছে। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। মারা যাওয়া অপর দুই জঙ্গি ওই এলাকারই বাসিন্দা।
পাকিস্তানভিত্তিক সংগঠন জইশ-এ-মোহাম্মদের জঙ্গিরা পুলিশকেন্দ্রে যখন এই অতর্কিত গুলি ও গ্রেনেড হামলাটি চালায় তখন শনিবার মধ্যরাত ২টা বেজে ১০ মিনিট। জঙ্গিরা কেন্দ্রটিতে ঢুকে পড়ার চেষ্টায় যখন গ্রেনেড ও গুলি ছোড়ে, তখন নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তাদের শুরু হয় তুমুল বন্দুযুদ্ধ; যা কয়েক ঘণ্চটা ধরে চলে। এতে সিআরপিসির ৫ জওয়ান এবং হামলাকারী দুই জঙ্গি নিহত হয়। সুবিশাল কেন্দ্রটিতে আরও এক জঙ্গি আত্মগোপন করে আছে। সে এখনো বেপরোয়া গুলিবর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে। তাকে জীবিত বা মৃত পাকড়াও করার চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৮
জেএম