দুই পক্ষের কর্মকর্তারা সোমবার (০১ জানুয়ারি) ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে তালিকাটি বিনিময় করেন।
স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এবং একে অন্যের বিরুদ্ধে পারমাণবিক বোমার আঘাত এড়াতে দ্বিপাক্ষিক চুক্তিটি ১৯৮৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত ও ১৯৯১ সালের ২৭ জানুয়ারি কার্যকর করা হয়।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে জানায়, পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর আক্রমণের নিষেধাজ্ঞা' শীর্ষক চুক্তি অনুসারে ভারত ও পাকিস্তান প্রত্যেক বছরের ০১ জানুয়ারি পারমাণবিক স্থাপনা ও সুবিধা প্রদর্শন করে- এমন হালনাগাদ তালিকা বিনিময় করে আসছে। এবার ২৭তম পরমাণু তালিকার বিনিময়, যার প্রথমটি হয়েছিল ১৯৯২ সালের ০১ জানুয়ারি।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে ভারতের পারমাণবিক প্রধান ড. শেখর বসু জানিয়েছিলেন, নতুন আবিষ্কারের কারণে ভারত এখন ইউরেনিয়ামে সম্পদশালী দেশ। দেিশে প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার টন খনিজ ইউরেনিয়াম আছে। ভারতকে ইউরেনিয়ামে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে কাজ চলছে।
স্থানীয়ভাবে খনির ইউরেনিয়াম বিদ্যুৎ উৎপাদন ও পারমাণবিক অস্ত্রের ক্ষমতা অর্জনে সরবরাহ করা হয়। ভারতের এখন ৬২৮০ মেগাওয়াট (মেগাওয়াট) বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন ২২টি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে তামিলনাড়ুর কুদানকুলামের দু’টি বিদ্যুৎকেন্দ্র রাশিয়া থেকে আমদানি করা ইউরেনিয়ামে চলে।
রাশিয়া সেগুলোতে ৬০ বছর ধরে ইউরেনিয়াম সরবরাহ চালিয়ে যাবে। কুদানকুলামের প্রতিটি ১০০০ মেগাওয়াট চুল্লির বৃত্তাকার-ঘড়িটি চালাতে কয়েক টন ইউরেনিয়ামের প্রয়োজন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৭
এএসআর