শীতকালীন এই বিশেষ ঝড়টি নিয়ে কোটি মানুষ এখন আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। এর ফলে তুষারপাত এবং শৈত্যপ্রবাহ আরো তীব্রতর হবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হচ্ছে।
উইসকনসিন, নর্থ ড্যাকোটা, মিসৌরি ও টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে এইসব এলাকায় এইসব প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বির্স্তীর্ণ এলাকা এখন বরফে ঢেকে গেছে। তাতে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা প্রায় স্থবির হয়ে পড়ার দশা। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের যে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বহু বছরের মধ্যে তুষারপাতের কবলে পড়েনি, সেখানেও তুষারপাতের ঘটনা ঘটেছে। যেসব এলাকায় তা হয়নি দিন দুয়েকের মধ্যে সেসব এলাকাও ঢেকে যাবে তুষারে।
নিউইয়র্ক সিটি ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় ক্রিসমাসের সময় থেকেই তাপাঙ্ক শূন্য ডিগ্রির নিচে চলে যায়। এখনো অবস্থার উন্নতি হয়নি। হবার সম্ভাবনাও নেই। আগামী কয়েকদিনে অবস্থা আরো খারাপের দিকে যাবে বলে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে।
তুষারপাত ও তীব্র শৈত্যপ্রবাহের ধকলের মধ্যে ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’-এর মতো দেশটির পূর্ব উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে এক প্রলয়ঙ্করী শীতকালীন ঝড়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একে ডাকা হচ্ছে ‘বোমা সাইক্লোন’ নামে। এটা এক ধরনের শীতকালীন হারিকেন। বুধবার দিনশেষে বা বৃহস্পতিবারের মধ্যেই উত্তর-পূর্ব উপকূলে এই ‘বোমা সাইক্লোন’ আঘাত হানতে পারে।
জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যসহ বহু জায়গায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। লোকজনকে ঘরের বাইরে বের না হতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ফ্লোরিডায় ১৯৮৯ সালের পর উল্লেখযোগ্য আকারে তুষারপাতের ঘটনা না ঘটলেও এবার তার ব্যত্যয় ঘটেছে।
সব মিলিয়ে ফ্লোরিডা সহ যুক্তরাষ্ট্রের বহু এলাকায় স্কুল-কলেজ, অফিস আদালত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বোমা সাইক্লোনের কারণে অবস্থার আরো অবনতি হবে বলে সতর্ক করা হচ্ছে। এর কারণে কোনো কোনো স্থান ৬ থেকে ১২ ইঞ্চি পর্যন্ত তুষারে ঢেকে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৮
জেএম