ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, বুধবার বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে দলিতদের নেতা প্রকাশ আম্বেদকর বনধ প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলে রাজ্যের সর্বত্র পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করে।
একদিন পর বৃহস্পতিবার পরিস্থিতি প্রায়-পুরোপুরি স্বাভাবিক।
এদিকে বুধবারের সহিংস বনধ চলাকালে রাজ্যের বিভিন্ন স্থান থেকে ৩শরও বেশি মানুষক আটক করা হয়েছে।
দলিতরা বনধ প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর বুধবার সন্ধ্যায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফাডনাবিশ রাজ্যবাসীকে বলেন দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে। রাজ্যজুড়ে সংঘটিত নৈরাজ্য, সংঘাত ও সহিংস সব ঘটনারই তদন্ত করা হবে আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা এখন সিসিটিভি ফুটেজগুলো দেখার কাজ শুরু করে দিয়েছি। ’
এদিকে বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্র পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, এরই মধ্যে এসব সহিংস ঘটনার ওপর ১৬টি প্রাথমিক পুলিশ রিপোর্ট জমা দেয়া হয়ে গেছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার উচ্চবর্ণের হিন্দুদের সঙ্গে দলিত সম্প্রদায়ের ব্যাপক সংঘর্ষ-সহিংসতা শুরু দলিতদের কথিত ‘বিজয় দিবস’ উদযাপন করা নিয়ে। ভীমা-কোরেগাঁও যুদ্ধজয়ের দিনটিকে দলিতরা ‘বিজয় দিবস’ হিসেবে উদযাপন করে থাকে। রাজ্যজুড়ে দলিতরা এই দিবসের দ্বিশতবার্ষিকী উদযাপনের প্রস্ততি নিচ্ছিল। কিন্তু উচ্চবর্ণের হিন্দুদের অভিযোগ, দলিতরা ব্রিটিশের দালালি করেছিল। এই দিনটির সঙ্গে ব্রিটিশের দালালির কলঙ্ক লেগে আছে এই অভিযোগে উচ্চবর্ণের হিন্দু ও ক্ষমতাসীন বিজেপির লোকেরা দিনটি উদযাপনে বাধা দেয়।
এর জের ধরেই সোমবার পুনে শহরে উচ্চবর্ণের মারাঠাদের সঙ্গে দলিতদের সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। পরে তা রাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৮
জেএম