শনিবার (০৬ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ খবর জানায়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৬ সালে সামরিক ব্যয় বাবদ বিশ্বজুড়ে ১ দশমিক ৬৯ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাজেট সর্বোচ্চে উঠেছিল ২০১০ সালে। সেই তুলনায় ২০১৬ সালের বাজেট ২০ শতাংশ কম ছিল।
পিস ইনস্টিটিউটের তথ্য বলছে, যুক্তরাষ্ট্র সার্বিকভাবে শীর্ষে থাকলেও সামরিক বাজেট বাড়ানোর দিক দিয়ে সবার চেয়ে এগিয়ে চীন। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সামরিক বাজেটের এই দেশটির সামরিক খাতে ব্যয় ১১৮ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৬ সালে ২১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সামরিক খাতে ব্যয় করেছে। যা ভারতের চেয়ে প্রায় চার গুণ বেশি।
সামরিক খাতে ৫৬ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে সারা বিশ্বে পঞ্চম স্থানে রয়েছে ভারত। তবে দক্ষিণ এশিয়ায় সামরিক বাজেটে শীর্ষে রয়েছে নতুন পরাশক্তির দেশটি। আর সামরিক খাতে এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি ব্যয় করছে চীন।
বৈশ্বিকভাবে তৃতীয় সর্বোচ্চ সামরিক ব্যয় রাশিয়ার। ২০১৬ সালে দেশটি সামরিক খাতে ৬৯ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ সামরিক বাজেট সৌদি আরবের। চতুর্থ অবস্থানে থেকে ২০১৬ সালে তারা ব্যয় করেছে ৬৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
২০০২ সালের পর থেকেই দেশটি ক্রমাগত সামরিক ব্যয় বাড়িয়েছে। তবে ২০১৫ সালের তুলনায় ২০১৬ সালে এ বাজেট ছিল প্রায় ৩০ শতাংশ কম।
ইউরোপে সামরিক ব্যয়ের দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে ফ্রান্স, তবে বৈশ্বিকভাবে দেশটির অবস্থান ষষ্ঠ। ২০১৬ সালে সামরিক খাতে ফ্রান্স ব্যয় করেছে ৫৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সাত নম্বরে যুক্তরাজ্য আর অষ্টম স্থানে জার্মানি। ২০১৬ সালে ২.৯ শতাংশ সামরিক ব্যয় বাড়িযেছে ইউরোপের শীর্ষ অর্থনীতির দেশ জার্মানি।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর পাউন্ডের অবমূল্যায়নের কারণে দেশটির প্রকৃত সামরিক ব্যয় কমেছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার মধ্যে শীর্ষ দশের মধ্যে রয়েছে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। উত্তর কোরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন ও জাপানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার কারণে এই অঞ্চলে সামরিক ব্যয় বাড়ছে।
পিস ইনস্টিটউট বলছে, ২০১৫ সালের তুলনায় ২০১৬ সালে বৈশ্বিকভাবে সামরিক খাতে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ বেশি ব্যয় হয়েছে। ২০১৬ সালে মোট বৈশ্বিক উৎপাদনের ২ দশমিক ২ শতাংশ এ খাতে ব্যয় করা হয়েছে, যা জনপ্রতি হিসেবে ২২৭ ডলারের সমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১৭
এমএ/