রোববার (০৭ জানুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে এ ঘোষণা দিয়েছে রোহিঙ্গাদের এ সংগঠনটি।
আরসার কমান্ডার ইন চিফের স্বাক্ষর করা ওই বিবৃতিতে গত শুক্রবারের (৫ জানুয়ারি) হামলায় জড়িত থাকার কথাও স্বীকার করেছে সংগঠনটি।
বিবৃতিতে বলা হয়, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর আত্মরক্ষা ও রোহিঙ্গা সম্প্রদায়কে রক্ষা করার জন্য মিয়ানমারের সরকারের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
একই সঙ্গে বিবৃতিতে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানুষের ‘মানবিক সহায়তা ও রাজনৈতিক ভবিষ্যতের’ জন্য আলোচনা শুরুর আহ্বান জানানো হয়।
গত বছরের ২৪ আগস্ট রাখাইনে তল্লাশি চৌকিতে আরসার চালানো ‘হামলা’র কারণে রোহিঙ্গাদের ওপর হামলা চালায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় স্থানীয় মগরাও।
এরপর ২৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশের কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ঢল নামে। ওইদিন থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ কক্সবাজারের শিবিরগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন।
তারা জানিয়েছেন, সেনাবাহিনী ও মগরা তাদের বাড়ি-ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া ছাড়াও নারীদের ধর্ষণ করেছে। লুটপাট চালানো হয়েছে তাদের সম্পদেও।
জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এ হত্যাযজ্ঞকে ‘জাতিগত নিধন’ বলে আখ্যা দিয়েছে। অনেকেই বলছে এটা মানবতা বিরোধী অপরাধ।
এদিকে মিয়ানমার সরকার দাবি করছে, আরসা সন্ত্রাসী সংগঠন। জঙ্গি নির্মূলেই রাখাইনে অভিযান চালানো হয়েছে। বেসামরিক লোকজনের ওপর হামলা চালানো হয়নি।
তবে আরসা বলছে, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক অধিকার আদায়ের জন্য তারা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৮
এমএ