বিবিসিসহ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো সোমবার চীনা কর্মকর্তাদের বক্তব্যের বরাত দিয়ে এই আশংকার কথা জানিয়েছে।
এদিকে দুর্ঘটনাকবলিত ইরানি ট্যাংকারটির নিখোঁজ ক্রুদের কোনো হদিস এখনো মেলেনি।
চীনা কর্মকর্তারা রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, ট্যাংকারটি যেভাবে অব্যাহতভাবে জ্বলছে তাতে করে এটি যে কোনো মুহূর্তে বিস্ফোরিত হয়ে ডুবে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে ছড়িয়ে পড়া তেল অপসারণ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে। কেননা ট্যাংকারটি যে ‘কনডেনসেট’ বহন করছে তা অনেকটাই স্বাদহীন ও বর্ণহীন। এটি পানিতে ছড়িয়ে পড়লে তা অপসারণ করা প্রায় অসম্ভব।
চীনের পরিবহন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, ট্যাংকারে জমানো লক্ষাধিক টন অশোধিত তেলে আগুন লেগে এটি এখন বিশাল ধোঁয়া ও অগ্নিকুণ্ডের রূপ নিয়েছে। চীনা ও আন্তর্জাতিক উদ্ধারকারীরা বহুবার এর কাছাকাছি যাবার চেষ্টা করেও আগুন ও তেলপোড়া বিষাক্ত ধোঁয়ার কারণে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন।
ট্যাংকারটির আগুন নেভানোর বা এতে কেউ আটকা পড়ে থাকলে তাকে বা তাদের উদ্ধারের কোনো আশা প্রায় নেই বললেই চলে।
চীনের পরিবহন মন্ত্রণালয় রোববার (০৭ জানুয়ারি) জানায়, শনিবার রাতের বেলা শিল্পশহর সাংহাইয়ের ১৬০ নটিক্যাল মাইল পূর্বদিকে এই নৌ-দুর্ঘটনাটি ঘটে।
পণ্যবাহী জাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষের পর ১ লাখ ৩৬ হাজার টন তেলবাহী ট্যাঙ্কারটিতে আগুন ধরে যায়। পানামায় নিবন্ধিত ইরানের গ্লোরি শিপিং পরিচালিত ‘সঞ্চি’ নামের ট্যাঙ্কারটি ইরানি তেল নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার দিকে যাচ্ছিল।
দুর্ঘটনায় হংকংয়ের পতাকাবাহী পণ্যবাহী জাহাজটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সেটির ২১ জন চীনা ক্রু’র সবাইকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়:১৪৪০ ঘণ্টা,জানুয়ারি ০৮, ২০১৮
জেএম