পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, বুধবার রাজধানী ইসলামাবাদের জনাকীর্ণ সড়কে প্রকাশ্য দিবালোকে ঘটে এ ঘটনা। তিনি একটি ভাড়াকরা ক্যাব নিয়ে বিমানবন্দরে যাবার সময় দুর্বৃত্তরা তার ওপর চড়াও হয়।
সাংবাদিক তাহা জানান, ক্যাব নিয়ে বিমানবন্দরে যাবার সময় পথিমধ্যে ১০ থেকে ১২ জন অজ্ঞাতপরিচয় দুর্বৃত্ত তার গাড়িটি থামিয়ে তাতে উঠে পড়ে। তারা তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকে। এক পর্যায়ে তাকে তাদের গন্তব্যে নিয়ে যেতে চাইলে তিনি গাড়ি থেকে লাফ দেন।
তাহা এখন পুলিশ হেফাজতে ‘নিরাপদে রছেন’ বলে জানিয়েছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে।
উল্লেখ্য, তাহা সিদ্দিকী সম্প্রতি পাকিস্তানে সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের অধিকার নিয়ে বিবিসির করা সাড়াজাগানো একটি সাম্প্রতিক ফিচারে বিস্তারিত ও নির্ভীক অভিমত তুলে ধরেন। সাংবাদিক ও সাংবাদিকতার জন্য খুবই বিপজ্জনক স্থান বলে বিবেচিত পাকিস্তানে এমনটা সচরাচর দেখা যায় না।
তাহা সিদ্দিকী বুধবার ইসলামাবাদের একটি থানার সামনে দাঁড়িয়ে বিদেশি একটি সংবাদমাধ্যমকে এসব কথা বলছিলেন।
থানা-পুলশের কাছে তিনি ঘটনার আনুপূর্বিক বর্ণনা তুলে ধরেছেন তিনি। তার চোখমুখে এখনও আতঙ্কের ছাপ। ধস্তাধস্তির কারণে তার জামার বোতাম ছিঁড়ে গেছে। গাড়ি থেকে লাফিয়ে একটি নর্দমার ভেতর আশ্রয় নিয়ে হামাগুড়ি দিয়ে পালানোর কারণে তার সারা গায়ে ময়লা।
তবে তিনি বলেছেন,যা-ই ঘটে থাকুক তার মুখ ও কলম কোনোভাবেই বন্ধ করা যাবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৮
জেএম