বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টা ধরে মোচাকৃতির এই আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ থেকে মুহুর্মুহু উত্তপ্ত গ্যাস ও আগুন বের হয়ে আকাশের অনেক উপর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ছে। এরই মধ্যে বেশ ক’টি ভূমিধসের ঘটনাও ঘটেছে।
কর্তৃপক্ষ সতর্কতা জারি করে বলেছে, আগ্নেয়গিরিটির জ্বালামুখে আরও বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। তখন উত্তপ্ত লাভা ও কাদার স্রোত লোকালয়ের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে বড় ধরনের মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পারে। অগ্ন্যুৎপাতের প্রভাবে ব্যাপক ভূমিধস ও পাথরধসের আশঙ্কাও প্রবল। এছাড়া বিষাক্ত ধোঁয়ার মেঘ বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করবে।
কর্তৃপক্ষ আগ্নেয়গিরিটির সাত কিলোমিটারের মধ্যে থাকা সবাইকে দ্রুত অন্যত্র চলে যেতে বলার পর সোমবার সকাল পর্যন্ত অন্তত ১২ হাজার আতঙ্কিত মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
ওই এলাকার বেসামরিক প্রতিরক্ষা কার্যালয়ের প্রধান ক্লাউদিয়ো ইয়ুকোত একটি সংবাদসংস্থাকে বলেন, সাত কিলোমিটারের মধ্যে যেসব পরিবার আছে তাদের সেখানে থেকে যাওয়া বিপজ্জনক। নিশ্বাসের সঙ্গে বিষাক্ত গ্যাস নেওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। ’
তিনি জানান, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে অবিরাম বৃষ্টি কারণে মায়ন পর্বতের ঢালুতে যে বিপুল জঞ্জাল জমা হয়েছে সেসব লাভাস্রোত ও ভূমিধসজনিত কাদাস্রোতকে আরও বেগবান করে লোকালয়ে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের সূচনা করতে পারে।
এর আগে ২০১৪ সালে এই আগ্নেয়গিরিতে ব্যাপক অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটেছিল। তখন ৬৩ হাজার মানুষকে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছিল।
এবার আরও বেশি বিপর্যয়কর অগ্ন্যুৎপাতের আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। কিছুদিন পরপরই ২ হাজার ৪৬০ মিটার উঁচু এই আগ্নেয়গিরির ব্যাপক বিপর্যয়কর বিস্ফোরণ ঘটানোর কুখ্যাতি রয়েছে। রাজধানী ম্যানিলা থেকে এর অবস্থান ৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৫ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৮
জেএম