যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রায় ৩০ হাজার সদস্য নিয়ে গঠিত এ বাহিনীতে বিপুলসংখ্যক কুর্দি যোদ্ধাও থাকবে।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকার বলছে, এ ধরনের বাহিনী তৈরি করাটা হবে সিরিয়ার সার্বভৌমত্বের গুরুতর লঙ্ঘন।
বাশারের বিদ্রোহীদের মদদদাতা যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা জোট রোববার (১৪ জানুয়ারি) ঘোষণা করে, তুরস্কের দক্ষিণ সীমান্ত লাগোয়া অঞ্চলে একটি সীমান্তরক্ষী বাহিনী তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করেছে তারা। এই বাহিনীর নাম দেওয়া হয়েছে, বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)। এ বাহিনীর সদস্যদের অধিকাংশই আসবে কুর্দি সশস্ত্র গোষ্ঠী ওয়াইপিজি থেকে। তবে আরবরাও থাকবে। এই বাহিনীর নেতৃত্বে থাকবে প্রেসিডেন্ট বাশারের বিরোধী সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস বা এসডিএফ।
পশ্চিমা জোটের মুখপাত্র রায়ান ডিলনকে উদ্ধৃত করে তুরস্কের সংবাদমাধ্যম জানায়, এই সীমান্তরক্ষী বাহিনী শুধু তুরস্কের সীমান্তেই নয়, সিরিয়ার দক্ষিণ-পূর্বে ইরাকের সীমান্তেও মোতায়েন করা হবে।
এই পরিকল্পনা জানার পরই তীব্র প্রতিক্রিয়া দেয় রাশিয়া, তুরস্ক এবং সিরিয়া। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্জেই লাভরভ মস্কোতে বলেন, এ ধরনের বাহিনী তৈরি হলে সিরিয়া ভেঙে যাবে।
তিনি বলেন, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। এই পরিকল্পনার মাধ্যমে সিরিয়াকে ভাগ করার একটি প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। এ ধরনের পরিকল্পনায় উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই উদ্যোগ গ্রহণযোগ্য নয় এবং নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে যে কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনকে মোকাবেলার অধিকার তুরস্কের রয়েছে।
আর সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, এ ধরনের বাহিনী তৈরি করে সিরিয়ার সার্বভৌমত্বের প্রতি আঘাত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৫০ ঘন্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৮
এসকে/এইচএ/