চাইনিজ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস-এর বিজ্ঞানী কিয়াং সানের বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, ক্যান্সার, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জিনগত ত্রুটির গবেষণা ও নিরাময়ের কাজে লম্বা লেজওয়ালা এই বিশেষ ধরনের ক্লোন বানরকে কাজে লাগানো হবে। বিজ্ঞানীদের কাছে এগুলো হবে এসব রোগ গবেষণায় মডেল।
স্কটল্যান্ডে মাদি ভেড়া ডলিকে ক্লোন করার বেলায় যে পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছিল, ঠিক একই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে ঝং ঝং ও হুয়া হুয়ার ক্ষেত্রে।
ক্লোন করা বানরশাবক দুটির মধ্যে ঝং ঝং-এর জন্ম ৮ সপ্তাহ আগে। আর হুয়া হুয়ার ৬ সপ্তাহ আগে।
ক্লোন করা বানরশাবক দুটিকে বোতলের সাহায্যে দুধ খাওয়ানো হচ্ছে। অন্যসব সাধারণ বানরশাবকের মতোই এরা স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠছে। সামনের কয়েক মাসে ক্লোনিংয়ের মাধ্যমে এরকম আরো বানরশাবক জন্ম দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন চীনা গবেষকরা।
প্রাণিবিজ্ঞানীদের অনেকেই ক্লোনিংয়ের মাধ্যমে বানরশাবক জন্ম দেয়ার নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাদের আশঙ্কা, এর মধ্য দিয়ে মানুষের ক্লোনিং করার ঝুঁকির কাছাকাছি চলে এসেছে পৃথিবী। কেননা বানর হচ্ছে জেনেটিক গঠনের দিক থেকে মানুষের খুব কাছাকাছি থাকা প্রাণি।
যারা এ ব্যাপারে নৈতিকতার প্রশ্নটি সামনে এনেছেন তাদের মধ্যে আছেন কেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রখ্যাত বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড্যারেন গ্রিফিন।
প্রসঙ্গত, স্কটল্যান্ডের এডিনবরার রোসলিন ইনস্টিটিউটের প্রাণিবিজ্ঞানীরা আজ থেকে ২০ বছর আগে ডলি নামের একটি মাদি ভেড়ার জন্ম দিয়েছিলেন ক্লোনিংয়ের মাধ্যমে। এটিই ছিল বিশ্বে স্তন্যপায়ী প্রাণির ক্লোনিংয়ের প্রথম নজির।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৮
জেএম