বিবিসিসহ বেশ ক’টি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম জানায়, স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটের সময় আত্মঘাতী এই হামলাটি চালানো হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুরনো ভবনের ঠিক পাশেই। একটি অ্যাম্বুলেন্সকে এই হামলার কাজে ব্যবহার করে হামলাকারীরা।
বিস্ফোণটি এতোই শক্তিশালী ছিল যে, আশপাশের একতলা স্থাপনাগুলো ধসে পড়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা সংবাদ মাধ্যমগুলোকে তাদের ভীতিকর অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়েছেন। তারা জানান, আত্মঘাতী হামলাটি যখন চালানো হয় তখন রাস্তাসহ পুরো এলাকাটি লোকে লোকারণ্য ছিল। ঠিক এমন সময়টাকেই হামলার জন্য বেছে নেয় জঙ্গিরা। একারণেই এতো বেশি সংখ্যক মানুষ আহত ও নিহত হয়েছে। বিস্ফোণস্থলে অসংখ্য মানুষকে আহত ও নিহত হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
বিস্ফোণটা এতোই শক্তিশালী ছিল যে, শহরের সব স্থান থেকে আকাশে পেঁচিয়ে উঠতে থাকা ধোঁয়ার কুণ্ডলি উঠতে দেখা যায়।
হাসপাতালগুলো আহত আর নিহত মানুষে উপচে পড়ার যোগাড়। আহতদের চিকিৎসা দিতে হাসপাতালগুলো রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে।
ঠিক এক সপ্তাহ আগে কাবুলের একটি বিলাসবহুল হোটেলে তালিবান জঙ্গিদের হামলায় ২২ জনের মৃত্যু হয়। তাদের বেশিরভাগই ছিল বিদেশি। তবে শনিবারের হামলায় কোনো ইউরোপীয় হতাহত হননি। তারা ‘সেফ জোনে’ রয়েছেন বলে জানা গেছে।
রেড ক্রস এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছে। অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করে এই হামলা চালানোর ঘটনাকে ‘‘অগ্রহণযোগ্য’’ বলে আখ্যা দিয়েছে তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৮ / আপডেট ২০৫২ ঘণ্টা
জেএম