জঙ্গি গোষ্ঠি ইসলামিক স্টেট (আইএস) তাদের নিজস্ব নিউজ এজেন্সি ‘আমাক’-এর মাধ্যমে এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় ভোর ৫টার দিকে রাজধানী কাবুলের পাশের কারগা এলাকায় এই হামলা চালানো হয়।
মাত্র একদিন আগেই (শনিবার) কাবুলে বিস্ফোরকবোঝাই অ্যাম্বুলেন্সের সাহায়্যে এক ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলা চালায় তালেবান জঙ্গিরা। এতে শতাধিক মানুষ নিহত এবং দেড়শর বেশি মানুষ আহত হয়।
আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেনারেল দৌলত ওয়াজিরি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে জানান, মোট ৫ জন জঙ্গি সোমবার ভোরবেলা এই অতর্কিত হামলাটি চালায়। আত্মঘাতী হামলা এবং সৈন্যদের গুলিতে ৪ জঙ্গি মারা গেছে। একজনকে অস্ত্রসহ পাকড়াও করা হয়েছে। নিহত জঙ্গিদের মধ্যে একজন বহুক্ষণ একাই লড়াই চালিয়ে যায়। হতাহত সৈন্যদের সবাই প্রধান ফটকের কাছে প্রহরায় নিয়োজিত ছিল।
দৌলত ওয়াজিরি আরও জানান, সামরিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে পাহারায় নিয়োজিত সেনা ইউনিটের ওপর প্রথমে একজন জঙ্গি হ্যান্ড গ্রেনেডের সাহায্যে আত্মঘাতী হামলা চালায়। এরপর অন্য জঙ্গিরা তাতে যোগ দেয়।
সর্বশেষে পাওয়া খবরে বলা হয়, হামলায় কমপক্ষে ১১ জন সৈন্যের মৃত্যু হয়েছে।
অতর্কিত হামলার মুখে সৈন্যরা প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তুললে দুপক্ষের মধ্যে শুরু হয় তুমুল বন্দুকযুদ্ধ। হামলাকারী জঙ্গিদের সবাই রকেটচালিত গ্রেনেড লঞ্চারসহ বিভিন্ন অত্যাধুনিক অস্ত্রসজ্জিত ছিল। জঙ্গিদের কেউই প্রধান ফটক পার হয়ে বেশি দূর অগ্রসর হতে পারেনি।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, ভোর থেকে দফায় দফায় বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় নিরাপত্তা বাহিনী। তারা ওই এলাকার সব সড়কে যান ও জন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।
হামলাস্থল থেকে চারটি একে-৪৭ অ্যাসল্ট রাইফেল, একটি সুইসাইড ভেস্ট এবং একটি রকেট লঞ্চার উদ্ধার করা হয়েছে।
কাবুলে শনিবারের (২৭ জানুয়ারি) ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলাটির দায় স্বীকার করেছে তালেবান গোষ্ঠী। এ ধরনের হামলা সাধারণত তালেবান বা ইসলামিক স্টেটই (আইএস) চালিয়ে থাকে।
মার্শাল ফাহিম জাতীয় প্রতিরক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুরূপ জঙ্গি হামলার ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। ২০১৭ সালের অক্টোবরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠিক বাইরে তালেবান জঙ্গিরা সামরিক ক্যাডেটবাহী একটি মিনিবাসে হামলা চালিয়ে ১৫ ক্যাডেটকে হত্যা করে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৮/আপডেট ১৩১৬ ঘণ্টা / আপডেট ১৯৩৯ ঘণ্টা/
জেএম