এবার তিনি একটি ব্রিটিশ টিভি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে নিজের টুইট-বাতিকের কথা স্বীকার করলেন।
ব্রিটেনের আইটিভি (ITV) চ্যানেলে রোববার (২৮ জানুয়ারি) প্রচারিত হওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি নিজের টুইট-বাতিক নিয়ে গর্ব প্রকাশ করেছেন।
তার ভাষায়, ভুয়া খবরের এই যুগে কোটি কোটি ভোটারের কাছে নিজেকে তুলে ধরা এবং তাদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করার জন্য টুইটারের মতো মোক্ষম সামাজিক মাধ্যমের দ্বারস্থ হবার কোনো বিকল্প তার সামনে খোলা নেই।
তার ধারণা, সাধারণ মানুষের মধ্যে তার দেয়া টুইটের প্রভাব সীমাহীন।
"নিজের পক্ষে দাঁড়ানোর মতো যোগাযোগের আর কোনো মাধ্যম আমার নেই। আমি দেখতে পাই চারপাশে শুধু ফেইক নিউজের (ভুয়া সংবাদ) ছড়াছড়ি। সবই ভুয়া, সবই মিথ্যাচারে ঠাসা। ’’
তার দাবি, বিশ্বজুড়ে অসংখ্য মানুষ তার টুইটের জন্য অধীর অপেক্ষায় থাকে। এ যেন এক পাগলপারা অবস্থা। ‘‘নিজের টুইট আমি নিজেই দিই। কখনও কখনও বিছানায় যাবার পরও আমি টুইট দিয়ে থাকি’’
তার এই বক্তব্যের সূত্র ধরে সংবাদ মাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে: ‘‘ I Tweet From Bed Sometimes, Says Donald Trump’’
ট্রাম্পের টুইটের ফলোয়ারের সংখ্যাও আহামরি। রোববার পর্যন্ত তার অ্যাকাউন্টে ফলোয়ারের সংখ্যা দাঁড়ায় ৪ কোটি ৭২ লাখ।
ট্রাম্প সচরাচর টুইট বার্তার মধ্য দিয়েই নিজের পলিসির কথা আগাম জানান দিয়ে থাকেন। পাশাপাশি তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ এবং কট্টর সমালোচকদের একহাত নেবার কাজেও ব্যবহার করে থাকেন নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টকে। আর উত্তর কোরিয়া ও ইরানসহ বিভিন্ন বৈরী রাষ্ট্রকে হুমকি-ধমকি দেয়ার মোক্ষম অস্ত্রও তার এই টুইট বার্তা।
বিছানায়ও তিনি মোবাইল ফোন নিয়ে ঘুমাতে যান কিনা, তখনও টুইট করতে চান কিনা-- এ প্রশ্ন করা হয় তাকে।
জবাবে ট্রাম্প জানান, সময় পেলেই তিনি টুইট করার সুযোগটি নেন। কখনো ঘুমাতে যাবার সময়, ব্রেকফাস্টের সময় বা দুপুরে খাবারের সময়। তবে সচরাচর ভোরে ও সন্ধ্যায়ই টুইট করার পর্যাপ্ত সময় পান। তবে দিনের অন্য সময়টায় তাকে বড্ড ব্যস্ত থাকতে হয়।
বাংলাদেশ সময়:১৯০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৮
জেএম