রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এই অভিযোগটি আনলেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন অচিরেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে যে শাস্তিমূলক রিপোর্ট (নতুন নিষেধাজ্ঞা)প্রকাশ করতে যাচ্ছে তা মূলত রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অনুসারী ও ক্রেমলিনের সঙ্গে ঘনিষ্ট অভিজাতদের নিষিদ্ধ করারই পাঁয়তারা।
মার্কিন অর্থ দপ্তরের এই রিপোর্টটির মূল উদ্দেশ্যই হলো প্রেসিডেন্ট পুতিনের দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হবার পথে কাঁটা বিছানো।
দিমিত্রি পেশকভের ভাষায়, ‘‘মার্কিন এই রিপোর্টটি হতে যাচ্ছে ১৮ মার্চ তারিখের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে প্রভাবিত করার স্পষ্ট ও সরাসরি পাঁয়তারার অংশ। ’’
তবে তার দাবি, এসব রিপোর্ট বা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রুশ ভোটারদের বিন্দুমাত্র প্রভাবিত করা যাবে না। ভোটে এর প্রভাব পড়বে না।
তবে রাশিয়ার কয়েকটি সংবাদপত্র বলেছে, মার্কিন রিপোর্ট প্রকাশকে সামনে রেখে পুতিন ও তার সমর্থক শিবিরে, বিশেষ করে তার প্রভাবশালী অভিজাত সমর্থকবলয়ের মধ্যে যথেষ্ট উদ্বেগ ও উকণ্ঠা বিরাজ করছে। মস্কো থেকে দেওয়া এক টুইট বার্তায় এমন দাবি করেছেন বিবিসির প্রতিনিধি স্টিভ রোজেনবার্গ।
উল্লেখ্য, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হিলারি ক্লিনটনের জয় ঠেকাতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের হয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে নানাভাবে প্রভাবিত করেছিলেন বলে ডেমোক্রেট শিবির অভিযোগ তোলা। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এখনো তোলপাড় চলছে। এ বিষয়ে দফায় দফায় তদন্তও চলছে। ট্রাম্প প্রশাসন এনিয়ে নানাভাবে সমালোচিত ও বিব্রত। তবে রাশিয়া এমন অভিযোগকে হাস্যকর বলে উড়িয়ে দিয়ে আসছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৮
জেএম