কেননা রাশিয়ার ‘অন্তর্ঘামূলক তৎপরতার চেয়ে’ বিশ্বজুড়ে চীনের ‘গোপন অর্থনৈতিক ক্ষমতা’র প্রভাবটা অনেক বড় ও ব্যাপকতর।
এমন উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী গোয়েন্দাসংস্থা সিআইএর প্রধান মাইক পম্পেও।
যুক্তরাষ্ট্রের স্পর্শকাতর গোপন বাণিজ্যিক তথ্য চুরি করে নিতে চীনের কথিত অপতৎপরতা’র উদাহরণ টানেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের স্কুল ও হাসপাতালগুলোর ওয়েবসাইটে হানা দিচ্ছে চীন—এমন অভিযোগও করেন তিনি।
ইউরোপও চীনের এহেন অপতৎপরতা থেকে মুক্ত নয় বলে দাবি করেন কট্টরপন্থি রিপাবলিকানের তকমাধারী সাবেক এই কংগ্রেসম্যান।
পম্পেও চীন ও রাশিয়ার অর্থনীতির মধ্যে তুলনা টেনে বলেন, চীনের অর্থনীতি রাশিয়ার অর্থনীতির চেয়ে অনেক গুণ শক্তিশালী। বিশ্বজুড়ে নিজের লক্ষ্যপূরণ ও প্রভাব তুলে ধরার যতোটা ক্ষমতা চীনা অর্থনীতির আছে ততোটা নেই রাশিয়ার।
চীনের প্রভাব বিস্তার-ক্ষমতার দৌড়ের সঙ্গে এখন এর ক্রমবর্ধমান গুপ্তচরবৃত্তিও যোগ হয়েছে। এর মধ্যে মানব গুপ্তচর যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে সাইবার গুপ্তচরবৃত্তিও। এসবের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রকে নানাভাবে কোণঠাসা করার পাঁয়তারায় মত্ত চীন।
মাইক পম্পেওর মতে, চীনকে আর রাশিয়ার চেয়ে কম বিপজ্জনক মনে করার দিন শেষ। বরং যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে বড় এক মূর্তিমান আতঙ্কের নাম এখন চীন।
বাংলাদেশ সময়:১৭২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৮
জেএম