ট্রাম্প প্রশাসনের ২০১৮ সালের নিউক্লিয়ার পশ্চার রিভিউ (এনপিআর) প্রকাশ উপলক্ষে পেন্টাগনে শুক্রবার দিনশেষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স সংক্রান্ত উপ-মন্ত্রী টম শ্যাননের বক্তব্যের বরাত দিয়ে সংবাদ মাধ্যমগুলো একথা জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে টম শ্যানন বলেন, জঙ্গি গোষ্ঠি বা সন্ত্রাসীদের পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী হতে বা এগুলো মোতায়েন করার ক্ষেত্রে যেসব রাষ্ট্র বা সংগঠন সহায়তা করবে যুক্তরাষ্ট্র তাদেরকে দুষ্কর্মের মূল হোতা হিসেবে দায়ী করবে।
তবে ১০০ পৃষ্ঠার এই রিপোর্টে বা এনপিআর রিপোর্টে এই দুষ্কর্মে সহায়তা করছে এমন কোনো রাষ্ট্র বা সংস্থার নাম উল্লেখ করা হয়নি। তবে এতে পাকিস্তানের প্রতি পরোক্ষ ইঙ্গিত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র ধর্মীয় জঙ্গি গোষ্ঠি বা চরমপন্থিদের হাতে চলে যেতে পারে মর্মে মার্কিন কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছেন। এজন্য পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্রের নিরাপত্তা ১০০ ভাগ নিশ্চিত করার জন্য ওয়াশিংটন ইসলামাবাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে আসছে। পাকিস্তান অবশ্য বরাবরই যুক্তরাষ্ট্রের এহেন উদ্বেগকে ভিত্তিহীন ও অমূলক বলে দাবি করে আসছে।
টম শ্যানন সাংবাদিকদের বলেন, ২১ শতকে মানবজাতির জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হচ্ছে সম্ভাব্য পারমাণবিক সন্ত্রাস। সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর উচিত হলো এই হুমকি দূর করার বিষয়ে এক যোগে কাজ করা। রাষ্ট্র ও সরকারের বাইরের গোষ্ঠি বা দল ফারমাণবিক অস্ত্র বাগিয়ে নেবার চেষ্টা করছে এমন আশঙ্কা বা ভীতি আমাদের মনে সদা ক্রিয়াশীল।
এ প্রসঙ্গে মার্কিন জ্বালানি উপমন্ত্রী ড্যান ব্রুইলে বলেন, পরমাণু অস্ত্রের বিস্তারমূলক কর্মকাণ্ডের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সব সময় তীক্ষ্ণ নজর রেখে চলেছে।
পারমাণবিক সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত একটি অধ্যায়ে বলা হয় সম্ভাব্য পারমাণবিক সন্ত্রাস মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র যে কৌশল নিয়ে এগুচ্ছে তার মধ্যে ব্যাপক কার্যক্রম অন্তর্ভূক্ত। সেসবের মধ্যে আছে বর্তমান হুমকি ও ভবিষ্যতের সম্ভাব্য হুমকি মোকাবেলায় ব্যাপক ও কার্যকর সুরক্ষা ব্যবস্থা।
রিপোর্টে আরও বলা হয়, জঙ্গি ও সন্ত্রাসীরা যাতে পারমাণবিক অস্ত্র বা এ সংক্রান্ত প্রযুক্তি হস্তগত করতে না পারে সে ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র সব সময় সচেষ্ট থাকবে। এরকম কোনো অস্ত্রের উপস্থিতি কোথাও শনাক্ত করা গেলে তা নিষ্ক্রিয় করা বা এটি যাতে বিস্ফোরিত হতে না পারে তা নিশ্চিত করার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র সদা সতর্ক রয়েছে।
তবে সবচেয়ে কার্যকর ব্যবস্থা হচ্ছে সন্ত্রাসীদের সহযোগী রাষ্ট্রগুলোকে তাদের অপকর্মের জন্য জবাবদিহির আওতায় আনা। প্রয়োজনে এদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিশোধের পথও বেছে নেয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৮
জেএম