মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ‘ফ্যালকন হেভি’ রকেটটি ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে মহাকাশের পথে পাড়ি জমালো। কয়েক দশক আগে এখান থেকেই প্রথম মনুষ্যবাহী মহাকাশযান অ্যাপোলো-১১ চাঁদের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছিল তিন নভোচারী নিয়ে।
বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী রকেটের উৎক্ষেপণ স্বচক্ষে দেখতে কেনেডি স্পেস সেন্টারের কাছে ভিড় করেন অনেকে। জোরালো গর্জন তুলে প্রবল বেগে আটলান্টিক মহাসাগরের তীর ঘেঁষে নিরাপদে মহাকাশের পথে রওনা দেয় পাহাড়সমান উচ্চতার অতিকায় রকেটটি।
রকেটটি উৎক্ষেপণ-সফলতায় আনন্দ প্রকাশ করেন স্পেসএক্স প্রতিষ্ঠাতা এলন মাস্ক। ৪৬ বছর বয়সী এ প্রযুক্তিবিদ বলেন, প্রথমবার কোনো রকেট উৎক্ষেপণ অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। এক্ষেত্রে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা ছিল। কিন্তু সৌভাগ্যবশত এমন কিছু ঘটেনি।
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি কার্গো বহনে সক্ষম রকেট এই ফ্যালকন হেভি। প্রায় ৬৪ টন কার্গো বহন করতে পারে এটি। আরেকটি শক্তিশালী রকেট ডেল্টা ফাইভ হেভির তুলনায় এটি দ্বিগুণ শক্তিশালী।
তবে স্বভাব রসিক মানুষ বলে পরিচিত এলন মাস্ক রকেটটি উৎক্ষেপণের সময় একটু রসিকতা না করে যেন পারলেন না। ফ্যালকন হেভির কার্গোতে তিনি রেখেছেন তার নিজের লাল রংয়ের টেসলা গাড়িটি। গাড়ির ড্রাইভিং সিটে বসানো হয়েছে স্পেস স্যুট পড়া একটি পুতুল। আর গাড়িটির স্টেরিওতে সেট করা হয়েছে ব্রিটিশ গায়ক ডেভিড বোয়ির সেই বিখ্যাত গান ‘স্পেস অডিটি’।
জানা যায়, এটি ছিল ফ্যালকন ফাইভের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ। এ রকেটের ইঞ্জিনের সংখ্যা ২৭টি। ইঞ্জিনগুলো তিনটি বুস্টারের সঙ্গে সংযুক্ত। তাছাড়া ব্যক্তিগত অর্থায়নে কার্গো নিয়ে মহাকাশের পথে পাড়ি জমানো এটিই প্রথম রকেট।
স্পেসএক্স প্রতিষ্ঠাতার মতে, এ রকেটের উৎক্ষেপণ সফলতার মাধ্যমে বিশ্বের অন্যসব হেভি-লিফটিং রকেটের দিন ঘনিয়ে এসেছে।
স্পেসএক্স এদিকে মনোনিবেশ করছে পরবর্তী প্রজন্মের রকেট নির্মাণে। এর নাম হতে যাচ্ছে ‘বিগ ফ্যালকন রকেট’।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৮
এনএইচটি/জেএম