মার্কিন জোটের দেয়া বিবৃতির বরাত দিয়ে সিএনএন বৃহস্পতিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) এ খবর দিয়েছে।
যৌথ বাহিনীর দাবি, সিরীয় বাহিনীর ওপর এই হামলা ছিল ‘আত্মরক্ষামূলক’।
এতে আরও দাবি করা হয়, সিরীয় সরকারি বাহিনী বুধবার আসাদবিরোধী সিরিয়ান ডেমোক্রেমিক বাহিনীর সদর দপ্তরের ওপর বিনা উস্কানিতে হামলা চালায়। এসময় সেখানে মার্কিন জোটের সামরিক বিশেষজ্ঞরা কর্মরত ছিলেন। এরই জবাব দিতে প্রতিরক্ষামূলক এই বিমান হামলা চালায় মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের জঙ্গি বিমানগুলো।
এর আগে ৫০০ সিরীয় সেনা কামান, মর্টার ও রাশিয়ায় নির্মিত টি-৫৪ ও টি-৭২ ট্যাংকের সাহায্যে ইউফ্রেতিস নদের ৮ কিলোমিটার পুবের খুসাম এলাকার ডি-কনফ্লিকশন জোনে অবস্থিত মার্কিন সমর্থনপুষ্ট সিরিয়ান ডেমোক্রেমিক বাহিনীর সদর দপ্তরে অতর্কিত হামলাটি চালায়।
সিরীয় বাহিনীর হামলাকালে কোনো মার্কিন বা জোটভুক্ত দেশের কোনো সামরিক বিশেষজ্ঞ মারা যাননি। তবে আসাদবিরোধী সিরিয়ান ডেমোক্রেমিক বাহিনীর একজন সেনা আহত হয়েছে।
সিরীয় বাহিনী এলাকাটি দখলে নিতে এসেছিল বলেই মনে করছে মার্কিন জোট। বিদ্রোহী বাহিনীর ঘাঁটি ছাড়াও এখানে সমৃদ্ধ তেলক্ষেত্রও রয়েছে যা এখন বিদ্রোহী বাহিনীর দখলে রয়েছে।
এই তেলক্ষেত্রটি দখল করাও ছিল সিরীয় বাহিনীর আরেক উদ্দেশ্য । এই তেলক্ষেত্রটি ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত জঙ্গিগোষ্ঠি আইসিস-এর আয়ের মূল উৎস ছিল। পরে সিরিয়ান ডেমোক্রেমিক ফোর্স তা দখল করে নেয়।
তবে বিমান হামলায় মারা যাওয়া ১০০ সেনা সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর নাকি আসাদ সমর্থিত গেরিলা বাহিনীর এ নিয়েও সিএনএন’র কাছে সংশয় প্রকাশ করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মার্কিন কর্মকর্তা।
তার মতে, নিহতদের মধ্যে আসাদের পক্ষে লড়াই করা ইরানি গেরিলারাও থাকতে পারে। তবে এ মুহূর্তে সবকিছু এখনো স্পষ্ট নয়।
বাংলাদেশ সময়:১১৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৮
জেএম