হামাস বলেছে, ফিলিস্তিনি জনগণ এবং হামাস যোদ্ধারা সিরিয়ার পাশে রয়েছি। যেকোনো অবস্থায় ইসরায়েলি আগ্রাসন মোকাবেলায় তারা প্রস্তুত।
সিরিয়ান বাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইসারয়েলের একটি এফ-১৬ জঙ্গি-বিমান ভূপাতিত হওয়ার পর এসব কথা বলেছে হামাস।
এর আগে সিরীয় বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে একটি হানাদার ইসরায়েলি জঙ্গিবিমান বিধ্বস্ত হয়।
ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থার বরাত দিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম এ খবর প্রচারিত হয়েছে। এর পরপরই হামাসের পক্ষ থেকে এ ধরনের ঘোষণা আসে।
বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ইসরায়েল অভিযোগ তুলে বলেছে যে, ইসরায়েলি ভূখণ্ডের ভেতরে ইরানি ড্রোনের অনুপ্রবেশের পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবেই শনিবার ইসরায়েলি জঙ্গি বিমানগুলো দামেস্কে ইরানি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হানা দেয়। এসময় সিরিয়ার বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র একটি ইসরায়েলি এফ-১৬ বিমানের ওপর আঘাত হানে। তবে এটি ইসরায়েলি ভূখণ্ডের ভেতরে বিধ্বস্ত হয়।
এই ঘটনায় হামাসের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা ইসমাইল রাদোয়ান আরবি ভাষার বার্তা সংস্থা কুদস প্রেস ইন্টারন্যাশনালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ইসরাইলি আগ্রাসনের যে জবাব দিয়েছে সিরিয়া আমরা তার প্রশংসা করি। আমরা নিশ্চিত করছি যে, ইসরাইলের শত্রুতামূলক পদক্ষেপের জবাবে ফিলিস্তিনের জনগণ ও হামাস দামেস্কের পাশে দাঁড়াবে।
এদিকে, হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জাদ্দিন আল কাসসাম ব্রিগেড এক বিবৃতিতে বলেছে, ইহুদিবাদী ইসরাইলের সম্ভাব্য হামলার মোকাবেলায় তাদের সামরিক প্রস্তুতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে নেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময় ০৩১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৮
এএম/এসআইএস