এদিন হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত, নিজেদের বাড়িঘর সহায় সম্পদ থেকে বিতাড়িত ফিলিস্তিনিরা গাজা সীমান্তের কাছে পদযাত্রা নামলে খুনে ইসরায়েলি সেনারা তাদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়, কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। তাতে ১৭ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারায়।
ফিলিস্তিনিদের এই পদযাত্রা কর্মসূচিটা শুরু হয়ে চলার কথা ছিল টানা ৬ সপ্তাহ। কিন্তু নিপীড়ক রাষ্ট্র ইসরায়েল প্রথম দিনেই পাখির মতো গুলি করে মারে ফিলিস্তিনিদের।
গাজায় সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয় আবু ওদেহর মৃত্যু। ৩০ বছর বয়সী এই তরুণের প্রতিবাদ স্তব্ধ করে দেয় ইসরায়েলি সেনাদের বুলেট। শুক্রবার সকালেই ওদেহ ছিল পদযাত্রার পুরোভাগে প্রতিবাদে উচ্চকিত। আর ওই দিনই সন্ধ্যায় তার মরদেহ সমাহিত করা হয় প্রিয় স্বদেশের মাটির নিচে।
আবু ওদেহর মতো ১৭ ফিলিস্তিনিকে সমাহিত করা হলেও সমাহিত হয়নি বা করা যাবে না ফিলিস্তিনিদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন। ভূমি ফিরে পাওয়ার আন্দোলন সংগ্রাম। আর ১৭ ফিলিস্তিনির দাফন অনুষ্ঠানে হাজারো ফিলিস্তিনির কণ্ঠে সে বাণীই উচ্চারিত হলো: ‘‘উই উইল রেজিস্ট আনটিল আওয়ার লাস্ট ব্রেথ---শেষ নিশ্বাসটুকু পর্যন্ত প্রতিরোধ চালিয়ে যাবো’’।
ইসরায়েলি বর্বর সেনারা শুধু যে পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদেরই গুলি করে মেরেছে এমন নয়। তাদের অস্ত্রের নাগালের মধ্যে যারা ছিল তাদের দিকেই গুলি ছুড়েছে তারা।
ওমর ওয়াহিদ আবু সামুর নামের গাজা উপত্যকার এক কৃষক তার খেতে কাজ করছিলেন। তিনিও মারা যান ইসরায়েলি সেনাদের নির্বিচার বুলেটে।
নিহতদের জন্য ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ শনিবার একদিনের ‘‘জাতীয় শোক’’ ঘোষণা করেছে। স্কুল কলেজ, অফিস আদালত, দোকানপাট সবই বন্ধ থাকে শনিবার। আগের দিন শুক্রবার প্রেসিডেন্ট আব্বাসের দপ্তর এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে।
সবাই নিন্দা জানাচ্ছে এই ইসরায়েলি বর্বরতার; কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের ‘ক্ষ্যাপা কুকুর’ ইসরায়েলকে থামানোর মন্ত্র কারো জানা নেই। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতিয়েরেস এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। স্রেফ এটুকই।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৯ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৮
জেএম