রোববার (০১ এপ্রিল) স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এ খবরে দিয়েছে। দিল্লি পুলিশ বলছে, আটকদের মধ্যে একজন অর্থনীতির শিক্ষক রয়েছেন, যিনি কোচিং সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত।
শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের জন্য ২ থেকে আড়াই হাজার টাকা করে নেওয়া হয়েছে বলেও জানায় পুলিশ।
সম্প্রতি সিবিএসই’র অধীনে অনুষ্ঠেয় দশম শ্রেণির গণিত ও দ্বাদশ শ্রেণির অর্থনীতির প্রশ্ন পরীক্ষার আগে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে এ দুই বিষয়ের পরীক্ষা বাতিলও করা হয়।
তবে প্রতিবাদ শুরু হয় পুরো ভারতজুড়ে। হাতে প্ল্যাকার্ড মুখে স্লোগান দেন ছাত্র-ছাত্রীরা। তাদের দাবি, শুধু গণিত ও অর্থনীতি নয়, সব বিষয়ে ফের নতুন করে পরীক্ষা নিতে হবে।
এদিকে প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনার পর কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকর দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার কথা বলেছেন।
আর পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি দু’টি বিষয়ের পরীক্ষা বাতিলের ঘোষণা দেন; তবে অন্যান্য বিষয়ের পরীক্ষা আবারও নেওয়া হবে কিনা সে বিষয়ে কিছু বলেননি।
সংবাদমাধ্যম বলছে, প্রথম ধাপে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে গণিত বিষয়ের প্রশ্ন ২৪ শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। আর সিবিএসই দ্বাদশ শ্রেণির ফাঁস হওয়া প্রশ্ন পেয়েছিলেন ১০ জন।
পরে তা দিল্লির বিস্তীর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। ফাঁস হওয়া প্রশ্ন কমপক্ষে এক হাজার শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছেছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৮
এমএ/