হাসপাতাল সূত্রগুলোর বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, ভারতীয় বাহিনীর সঙ্গে চলমান সংঘর্ষে প্রায় জনা চল্লিশেক তরুণ কাশ্মীরি গুলিবিদ্ধ ও জখম হয়েছে। বিক্ষুব্ধ তরুণরা রাস্তায় রাস্তায় সশস্ত্র বাহিনীর জওয়ানদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়ে ব্যাপক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
মঞ্জুর আহমেদ নামের একজন সোফিয়ান এলাকার একজন প্রত্যক্ষদর্শী বাসিন্দা একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমকে রোববার জানান, সৈন্যরা বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে তাজা গুলি ব্যবহার করেছে। বেশ কয়েকজন তরুণকে তিনি নিজের চোখের সামনে গুলিতে জখম হতে দেখেছেন। বহু সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি ভাংচুর ও তছনছ করা হয়েছে। এসব বাসিন্দা এখন রাস্তায় খোলা আকাশের নিচে।
মঞ্জুর প্রশ্ন রাখেন, ‘‘ আর কতোদিন এই রক্তারক্তি চলবে? আমরা এসবে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। ’’
প্রাণহানির ঘটনার প্রতিবাদে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা ওই এলাকায় দুদিনের বনধ-এর ডাক দিয়েছেন। এতে সাড়া দিয়ে বেশিরভাগ ব্যবসায়ী নিজেরাই তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও দোকানপাট বন্ধ রেখেছেন।
এদিকে পরিস্থিতি সামাল দিতে ও প্রতিবাদ বিক্ষোভ দমন করতে প্রধান শহর শ্রীনগরসহ উত্তেজনাঘন সহিংস এলাকাগুলোতে বাইরে থেকে শত শত সেনা পাঠানো হয়েছে। তারা এখন রাস্তায় রাস্তায় টহল দিয়ে বেড়াচ্ছে। তারা পারতপক্ষে কাউকে রাস্তায় নামতে দিচ্ছে না। কিন্তু তাতে খুব একটা সুফল মিলছে না।
কাশ্মীরের পুলিশপ্রধান শ্যামপ্রকাশ পনি একটি সংবাদ সংস্থাকে জানান, বিচ্ছিন্নতাবাদীরা দুটি পৃথক স্থানে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ ও গুলি বিনিময়কালে নিহত হয়েছে। অন্য একটি এলাকায় বন্দুকযুদ্ধ এখনো চলছে। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত কম করে হলেও ১১ বিচ্ছিন্নতাবাদীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৮
জেএ