রোববার (১৫ এপ্রিল) সৌদির পূর্বাঞ্চলীয় দাহরানে আরব লিগের এক সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তৃতাকালে সালমান বলেন, আমরা জেরুজালেমের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যানের পুনরুচ্চারণ করছি। পূর্ব জেরুজালেম ফিলিস্তিন অঞ্চলের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
সপ্তাহ দুয়েক আগে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার শরণার্থী ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলে তাদের ভিটেমাটি ফিরে পেতে বিক্ষোভ শুরু করে। বিক্ষোভ এপ্রিলের মাঝ পর্যন্তই চলছিল। এ বিক্ষোভের মধ্যে সৌদির প্রভাবশালী ক্রাউন প্রিন্স (ভবিষ্যৎ বাদশাহ) মোহাম্মদ বিন সালমান ইসরায়েলের প্রতি পক্ষপাতিত্ব দেখিয়ে বলেন, নিজেদের ভূমিতে বসবাসের অধিকার ইসরায়েলের আছে। এমন একটি শান্তিচুক্তি দরকার যেন সব পক্ষই স্বাভাবিক সম্পর্ক বজায় রেখে বসবাস করতে পারে।
যদিও গত ডিসেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণা করে সেখানে দূতাবাস স্থাপনের কথা জানানোর পর পাল্টা সৌদি আরবেরই নেতৃত্বে ইসলামী দেশগুলোর জোট ওআইসি পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানীর স্বীকৃতি দেয়, তথাপি মোহাম্মদ বিন সালমানের ওই বক্তব্যে মুসলিম বিশ্বে বিস্ময়ের সৃষ্টি হয়। ক’দিন আগে যুক্তরাষ্ট্র সফর করে আসা মোহাম্মদ বিন সালমানের এই বক্তব্যকে সরাসরি ইসরায়েল-সমর্থনও ধরে নিচ্ছিলেন অনেকে।
বিষয় ‘স্পষ্ট করে’ বাদশাহ সালমান বলেন, সৌদির মূল করণীয় বিষয়ের মধ্যে অবশ্যই ফিলিস্তিন ইস্যু থাকবে, যতক্ষণ পর্যন্ত না ভ্রাতৃপ্রতিম ফিলিস্তিনিরা তাদের সব ন্যায্য অধিকার বুঝে পান। তাদের অধিকারের মধ্যে প্রধানতম হলো পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা।
তেলআবিব থেকে জেরুজালেমে দূতাবাস স্থাপনে ট্রাম্পের ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও প্রশংসা করেন সৌদি বাদশাহ।
মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের রাজনীতিতে ইরানের ‘হস্তক্ষেপ’র অভিযোগ তুলে সালমান বিন আবদুল আজিজ বলেন, সৌদি শহর লক্ষ্য করে (ইয়েমেনের) হুথি বিদ্রোহীদের ইরানে নির্মিত ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বিবৃতিকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। একইসঙ্গে আরব অঞ্চলে ইরান যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে তার নিন্দা করছি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৮
এইচএ/