মঙ্গলবার (১৭ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, ‘দ্য অর্গানাইজেশন ফর দ্য প্রোহিবিশন অব কেমিক্যাল ওয়েপন’ নামে তদন্তকারী সংস্থার পরিদর্শকরা আগামী বুধবার (১৮ এপ্রিল) দুমায় প্রবেশ করতে পারবেন।
এদিকে তদন্তকারী দলের সদস্যদের দুমার প্রবেশে জটিলতা প্রসঙ্গে মার্কিনসংস্থাগুলোর উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছে, এ সুযোগে সিরিয়া সরকারের বন্ধু রাশিয়া রাসায়নিক হামলাস্থল থেকে আলামত নষ্ট করে ফেলতে পারে।
গত ৭ এপ্রিল বিরোধীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা দুমায় রাসায়নিক হামলার জন্য সিরিয়ার সরকারবাহিনী ও রাশিয়াকে দায়ী করে বিদ্রোহী গোষ্ঠী ও পশ্চিমা ত্রাণসংস্থাগুলো। অভিযোগে বলা হয়, সেখানে আকাশ পথে বিষাক্ত কেমিক্যাল ফেলা হলে ৪০ জনেরও বেশি নিহত হন।
এ হামলার জের ধরে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যকে সঙ্গে নিয়ে দেশটিতে ব্যাপক মিসাইল হামলা চালায়। কিন্তু রাসায়নিক হামলার ঘটনাটি বরাবরই ‘বানানো বিষয়’ বলে দাবি করে আসছে সিরিয়া সরকার ও রাশিয়া।
আগামী বুধবার তদন্তকারী দলের সদস্যরা দুমায় পৌঁছে মাটি ও অন্যান্য নমুনা সংগ্রম করবেন। রাসায়নিক হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো উপাদান এসব নমুনায় পাওয়া যায় কিনা তা শনাক্তের চেষ্টা করবেন।
এদিকে সোমবার (১৬ এপ্রিল) দিনগত রাতে সিরিয়ার এয়ার ডিফেন্স হোমস প্রদেশের শায়রাত শহরে কয়েকটি মিসাইল ভূপাতিত করেছে বলে জানায় দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন। বলা হয়, শায়রাত বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে মিসাইলগুলো ছোড়া হয়েছিল।
অপর আরেকটি রিপোর্টে বলা হয়, রাজধানী দামেস্কের উত্তর-পূর্বের দুমাইর বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে তিনটি মিসাইল ছোড়া হয়েছিল। এগুলোও ভূপাতিত করা হয়।
তবে ওইসময় ওই এলাকায় মার্কিন সামরিকবাহিনীর কোনো তৎপরতা ছিল না বলে জানায় পেন্টাগন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৮
এনএইচটি