ভারতের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন বিচারপতি এএম খানওয়ালকর এবং বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচুড়ের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ মামলার শুনানি হয়েছে।
শুনানি শেষে আদালত বলেন, ওয়াক্ফ সম্পত্তি হিসেবে আপনাদের কাছে একটি মনুমেন্ট রয়েছে, কিন্তু এটি নিয়ে মালিকানা দাবির ক্ষেত্রে খুব একটা সমর্থন পাওয়া যাবে না।
এর আগে সুন্নি ওয়াক্ফ বোর্ড দাবি করে, তাজমহলের মালিকানা তাদের। সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে তারা জানায়, সম্রাট শাহজাহান একটি ওয়াক্ফনামায় তাজমহলসহ গোটা সম্পত্তি তাদের লিখে দিয়েছিলেন।
এ আবেদন গ্রহণ করে গত ১১ এপ্রিল আদালত এর ওপর শুনানি করেন। দালিলিক প্রমাণের জন্য ওইদিন ওয়াক্ফ বোর্ডের কাছে সম্রাট শাহজাহানের স্বাক্ষরিত নথি আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
ওইদিন আদালত পর্যবেক্ষণে বলেছিলেন, ভারতের কেউ বিশ্বাস করবেন না যে তাজমহল ওয়াক্ফ বোর্ডের সম্পত্তি। এটা আদালতের সময় নষ্ট করা ছাড়া আর কিছু নয়।
বিশ্বের সপ্তাচার্যের একটি ভারতের উত্তর প্রদেশের আগ্রা শহরের এই তাজমহল। মুঘল সম্রাট শাহজাহান তার সহধর্মিণী বেগম মমতাজের স্মৃতি রক্ষায় ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে এই সৌধ নির্মাণ করেন।
৪২ একর জায়গাজুড়ে ১৬৩২ থেকে ১৬৫৩ সালের মধ্যে এটি নির্মাণ করা হয়। ১৯৮৩ সালে ইউনেস্কো তাজমহলকে বিশ্বঐতিহ্য হিসেবে তালিকাভুক্ত করে।
তাজমহলের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া (এএসআই)। ১৬৬৬ সালে সম্রাট শাহজাহানের মৃত্যু হয়। তাজমহলের কাছেই আগ্রা দুর্গ। এ দু’টি স্থাপনাই যমুনা নদীর তীরে।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জানায়, ২০০৫ সালে থেকে তাজমহলের উপর নিজেদের অধিকার দাবি করে আসছে উত্তরপ্রদেশের সুন্নি ওয়াক্ফ বোর্ড।
তাদের এ দাবির বিরুদ্ধে ২০১০ সালে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানায় এএসআই। তখনই সুন্নি ওয়াক্ফ বোর্ডের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৮
এমএ/