মঙ্গলবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ও রাতে কালবৈশাখীর আঘাতে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, সন্ধ্যায় দুই দফা আঘাত হানে কালবৈশাখী।
লেনিন সরণিতে অটোরিকশার উপরে গাছ পড়ে মারা যান অটোচালক মানোয়ার আলম (৫১) এবং যাত্রী আমরিন জাভেদ (২৭)। আনন্দপুরের পশ্চিম চৌবাগায় ঘরের ছাদ ভেঙে মোহম্মদ শাহীদ (৪০) নামে আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে। কলাকার স্ট্রিটে বহুতল ভবনের দেয়াল চাপায় মারা যান অনীত শুক্ল (২৮)।
খবরে বলা হয়, ঝড়ে কলকাতার লাগোয়া শহর হাওড়ার বেলুড়েই চারজন মারা গেছেন। গিরিশ ঘোষ রোডে গাছ পড়ে মারা যান স্কুলছাত্রী খুশি মারিয়া (১৬)।
তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তারাচাঁদ গাঙ্গুলী স্ট্রিটে ৪৫ বছরের এক মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়। ওই সাইকেলে থাকা এক তরুণী ও এক কিশোরের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বেলুড়ের গাঙ্গুলী স্ট্রিটেও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। আন্দুল রোডে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে জয়দেব দাস (২২) নামে এক মোটরবাইক আরোহীর মৃত্যু হয়।
ডুমুরজলায় গাছ পড়ে মৃত্যু হয় মুনমুন দাসের (২৩)। বজ্রপাতে বাঁকুড়ার ইন্দাসের তেঁতুলমুড়িতে সুকুমার ঘোষ (৩৪) ও হুগলীর হরিপালে তুলি মুখোপাধ্যায় (১৭) মারা গেছেন।
এদিকে ঝড়ে হাওড়া রেলস্টেশনের ১৯ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ানো একটি ট্রেনের ছাদে ভেঙে পড়ে বঙ্কিম সেতুর রেলিংয়ের একটি অংশ। পূর্ব রেলের হাওড়া-বর্ধমান কর্ড ও মেইন লাইন ছাড়াও দক্ষিণ-পূর্ব রেলে ব্যাহত হয় ট্রেন চলাচল।
লিলুয়ায় গ্রিডের সংযোগ বিকল হয়ে যায়, গাছ পড়ে যায় হিন্দমোটরে। বন্ধ হয়ে যায় মেট্রো চলাচল। ফলে সবচেয়ে ভোগান্তিতে পড়েন অফিস-ফেরত মানুষেরা।
ঝড়ের কারণে কলকাতার সুভাষ চন্দ্র বিমানবন্দরেও প্লেন ওঠা-নামায় বিঘ্ন ঘটে। এছাড়া রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ঝড়ে ঘরবাড়ি ও গাছপালা ছাড়াও ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৮/আপডেট: ১১০৬
এমএ/