মঙ্গলবার (২৬ জুন) টেলিভিশনে বিবৃতিতে ইরানিদের এ প্রতিশ্রুতি দেন হাসান রুহানি। এর আগের দিন ইরানের ব্যবসায়ীরা জাতীয় মুদ্রার দাম কমে যাওয়ায় দেশটির সংসদের সামনে প্রতিবাদ জানায়।
ইরানের সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, তেহরানের গ্রান্ড বাজারের সড়কে দ্বিতীয় দিনের মতো প্রতিবাদকারীরা জড়ো হয়। এসময় তারা সরকারের বিপক্ষে স্লোগান দেয়।
সোমবারের (২৫ জুন) প্রতিবাদ সভায় দেশটির পুলিশ টহল জারি করেছিল।
ইরানের ব্যবসায়ীদের দাবি, রিয়ালের মুদ্রামান কমে যাওয়ায় ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে। পণ্য আমদানিতেও ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশটি।
অর্থনৈতিক ক্ষতির আশঙ্কার বিরোধীতা করে রুহানি বলেন, এতে সাম্প্রতিক সময়ে সরকারের আয়ের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না।
এছাড়াও তিনি রিয়ালের মূল্যমান কমে যাওয়াকে ‘বিদেশি গণমাধ্যমের প্রচারণা’ বলে আখ্যায়িত করেন।
তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, যদি খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, তবে ইরানিদের মৌলিক চাহিদা পূরণ করা হবে। সরকারের মজুদে যথেষ্ট পরিমাণ চিনি, গম, ভোজ্য তেল রয়েছে। সেইসঙ্গে বাজারে সরবরাহ করার জন্য যথেষ্ট বৈদেশিক মুদ্রাও সরকারের হাতে রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক ইস্যু নিয়ে চুক্তি থেকে সরে আসার পর ইরানের ওপর পুনরায় অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ শুরু করেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, পুনরায় অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণে ইরানের অর্ধনৈতিক ক্ষতি হতে পারে। তেল রফতানির ওপর এর প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা তাদের।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৮ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৮
এএইচ/টিএ