শুক্রবার (২৯ জুন) এক সাক্ষাতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীকে এ মতামত জানিয়েছেন চীন সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কূটনীতিকরা।
জাতিসংঘ ও অন্যান্য সাহায্য সংস্থার তথ্যানুযায়ী, ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত মিয়ানমারের সামরিকবাহিনীর হাত থেকে পালিয়ে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
চলতি বছরের মে মাসে জাতিসংঘ জানায়, রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে একটি পরিকল্পনা করেছে সংস্থাটি।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চীনের স্টেট কাউন্সিলর ওয়াং ই আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে জানান, বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) তিনি মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর দফতরের মন্ত্রী কিয়াও টিন্ট সোয়ে’র সঙ্গে বেইজিংয়ে সাক্ষাৎ করেন। এসময় রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের প্রক্রিয়ার ব্যাপারে তাদের কথা হয়।
ওয়াং ই বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে মনে করি, বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার এরইমধ্যে প্রস্তুতি নিয়েছে। আমরা সত্যিই প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া দেখতে চাই। বিশেষ করে প্রথম পর্যায়ের প্রত্যাবর্তনের প্রক্রিয়া যত দ্রুত সম্ভব দেখতে চাই।
তিনি আরও বলেন, চীন এ ব্যাপারে সহযোগিতা করবে এবং যৌক্তিক ভূমিকা রাখবে। মিয়ানমারে ফিরে যাওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য চীন আবাসন নির্মাণ করেছে। বাংলাদেশেও তাবু নির্মাণ ও মানবিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে চীন। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের কঠোর পরিশ্রমের মাধ্য দিয়ে প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া খুব দ্রুত শুরু হবে বলে মনে করি।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, রোহিঙ্গা নিয়ে ওয়াং ই-এর সঙ্গে বিস্তারিত কথা হয়েছে। সেই অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনের জন্য চীনের সহযোগিতা চেয়েছি। চীন এ ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১৮
এএইচ/এনএইচটি